৬৪ থেকে ৭৫ বয়সি পুরুষদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক ভাবে দুর্বল পুরুষের চাইতে যারা বেশি সবল তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বেশি। তরুণ বয়সে মস্তিষ্কের যেসব অংশ ব্যবহৃত হয়, এই বয়সেও তারা সেসব অংশই ব্যবহার করেন।
গবেষণার প্রধান জাপানের ইউনিভার্সিটি অফ সুকুবা’র হাহদিকি সোয়া এবং তার সহকর্মীরা দেখান যে, এই বয়সি বৃদ্ধ মানুষদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, মস্তিষ্কের ক্রিয়া এবং শারীরিক যোগ্যতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষকদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করতে শুরু করি। যেমন তরুণ বয়সে অল্প সময়ের জন্য মনে রাখা এবং নিপুণভাবে কাজ পরিচালনার জন্য মস্তিষ্কের ডান অংশ বা প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (পিএফসি)’র সহায়তা নেওয়া হয়।
অপরদিকে এই ধরনের কাজে বৃদ্ধ বয়সে মস্তিষ্কের পিএফসি’র ডান ও বাম দুই অংশই জড়িত থাকে।
শরীরচর্চা মস্তিষ্কের ক্ষমতা তরুণ বয়সের মতো ফিরিয়ে আনতে পারে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ৬০ জন বৃদ্ধ পুরুষকে ‘অ্যারোবিক ফিটনেস’ দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে যাদের শারীরিক কর্মক্ষমতা বেশি পাওয়া যায় তাদের নির্বাচনী মনোযোগ, কাজের ধারা এবং প্রতিক্রিয়ার সময় বোঝার জন্য ‘কালার-ওয়ার্ড ম্যাচিং স্ট্রুপ টেস্ট’য়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়।
এই সুপরিচিত পরীক্ষার পদ্ধতি হল, এইসব পুরুষদের বিভিন্ন রংয়ে লেখা অক্ষর দেখানো হয়। নীল, সবুজ, লাল রংয়ের এসব অক্ষর দেখে বলতে বলা হয় কোনটা কোন রং। তবে কী অক্ষর সেটা জানতে চাওয়া হয়নি।
স্ট্রুপ প্রতিক্রিয়ার সময়ের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকলাপের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় সেসব পুরুষ পিএফসি’র বাম দিক ব্যবহার করছেন তারা স্ট্রুপ পরীক্ষায় দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন।
গবেষকরা আরও দেখতে পান, সবল পুরুষদের প্রতিক্রিয়ার সময় কম লাগে।
এই ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকরা মনে করছেন, বেশি ‘অ্যারোবিক ফিটনেস’য়ের সঙ্গে হয়তো পিফএফসি’র বাম দিক বেশি কর্মচঞ্চল হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।
অন্যভাবে বললে, গবেষণায় দেখা গেছে তরুণ বয়সের মতো সবল বয়স্ক মানুষরা মস্তিষ্কের একই দিক ব্যবহারের ঝোঁক বেশি।
নিউরোইমেইজ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
অন্যভাবে বললে, গবেষণায় দেখা গেছে তরুণ বয়সের মতো সবল বয়স্ক মানুষরা মস্তিষ্কের একই দিক ব্যবহারের ঝোঁক বেশি।
নিউরোইমেইজ জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
0 comments:
Post a Comment