This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

নাক ডাকা দূর করার উপায়






নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও এটি আসলে বেশ খারাপ একটি সমস্যা। এটিকে হৃদরোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলেও পাশে থাকা মানুষটির ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাই নাক ডাকা সমস্যাকে অবহেলা নয় মোটেই। সমস্যাটি কীভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জানতে চান কীভাবে? 
চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।

 গাজর-আপেলের জুস শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকর। – ২ টি আপেল ছোটো ছোটো খণ্ডে কেটে নিন এবং ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। – এবার ২ টি গাজর কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। – এরপর একটি লেবুর ১/৪ অংশ কেটে রস চিপে এতে দিয়ে দিন এবং ১ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। – কিছুটা পানি দিয়ে বেশ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন। – এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করুন। নাক ডাকার সমস্যা দূরে পালাবে।

 হলুদের চা হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটিও বেশ কার্যকর নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে। – ২ কাপ পরিমাণ পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। – এতে ১ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দিন (গুঁড়ো হলেও চলবে)। এবার আবার জ্বাল করতে থাকুন। – যখন পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে চলে আসবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ফেলুন। – এবার ১/২ চা চামচ মধু ও ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। – প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পান করে নেবেন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা দূর হয়ে যাবে 


- See more at: Health Care Solution

ভার্জিন শরীর



পুরুষদের আড্ডায় প্রেম, ছ্যাকা, স্বপ্ন, বিয়ে, রগরগে জোকস, হেঁড়ে গলায় গান… থাকবে না, তা তো হয় না। এমনি এক মধ্যরাতের আড্ডায় পুকুর ঘাটে ১০-১২জন বন্ধু মিলে মশগুল ছিলাম।
অবিবাহিত এক বন্ধুকে হঠাৎ জিজ্ঞাস করলাম, বিয়ে করছিস কবে?
উত্তরে সে জানিয়েছিলো, দেখি…নিজের পায়ে একটু খাড়া হতে দে… তারপর। তাছাড়া এ জমানায় সতি একজন মেয়ে পাওয়াও দুষ্কর।
(আড্ডায় তর্ক জমানোর একটি চমৎকার বিষয় পেয়ে যাই)
আমি বলি, সতি বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছিস? Virgin?
বন্ধু আমার ফাঁদে পা দিয়ে বলে, Virgin তো অবশ্যই, বয়ফ্রেন্ড নেই, ভালো চরিত্র …।
আমি বলি, বন্ধু তুই নিজে তো Virgin না। অতীতে তোর একাধিক গার্ল-ফ্রেন্ডের খবর আমাদেরই নখদর্পে। আর আমাদের না জানিয়ে কি কি করেছিস খোদাই জানে!!! তাহলে তুই Virgin, সতি মেয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিস যে!!!
বন্ধু সরল স্বীকারোক্তিতে বলে, আরে অভিজ্ঞতা আর টাইম পাসের জন্য ঐসব ছিলো, বিয়ে অন্য ব্যাপার। সারা জীবন একটি মেয়ের সাথে সংসার করবো, তার শরীরে অন্য পুরুষের হাত ছিলো ভাবতেই ঘেন্না লাগে…।
বন্ধুকে ভোর অবধি কি পরিমাণ তুলো-ধুনো করেছি সে গল্প অন্য দিন।
অন্য একটি ব্যতিক্রম ধর্মী অভিজ্ঞতা বলি, ২০০৮সালের ঘটনা। আমার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু রাত ১১টার দিকে জরুরি ফোন দিয়ে নিয়ে গেলেন এক প্রবাসীর বাসায়। ঐ প্রবাসী একদিন আগেই বিয়ে করেছেন।
ড্রয়িং রুমে বসে চা খাচ্ছি, তখনও জানি না আমাকে আমন্ত্রণের হেতু।
জিজ্ঞাস করার পর, আমার সম বয়সী সেই প্রবাসী ব্যক্তি আমতা আমতা করে আমায় জানালেন, আমাকে তার নব-বিবাহিতা স্ত্রীর Virginity পরীক্ষা করতে হবে। তার কাছে অজ্ঞাত স্থান থেকে একাধিক ফোন এসেছে, এই মেয়ের সাথে বিয়ের পূর্বে পরপুরুষের শারীরিক সম্পর্ক ছিলো। স্ত্রী কান্না কাটি করলেও, Virginit’র পরীক্ষা দিতে রাজী আছে।
আমি অবাক হয়ে সেই লোকের পানে তাকিয়ে থাকি… কি বলে পাগল!!!
ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অনৈতিক জানিয়ে, হাতজোড় করে বেরিয়ে আসার সময় জানিয়েছিলাম, অজানা একটি ফোন কলকে বিশ্বাস করছেন, অথচ নিজের বিবাহিতা স্ত্রীর… যার সঙ্গে আজীবন সংসার করবেন, তার প্রতি এতো অবিশ্বাস!!!
পরবর্তীতে জেনেছি, সেই প্রবাসীর বিয়ের পূর্বে একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিলো, তাই নারীদের প্রতি এতো অবিশ্বাস!
নববিবাহিত অনেক পরিচিতজন ফোন করে জিজ্ঞাস করেন, প্রথম সঙ্গমে তো রক্তপাত হলো না, তাহলে কি তার স্ত্রী ভার্জিন না!!??

bd health tips এর চিত্র ফলাফল

নারীদের প্রতি পুরুষদের কিংবা পুরুষদের প্রতি নারীদের আকর্ষণ থাকবে প্রাকৃতিক কারণেই। সামাজিক কারণে আমাদের নারীরা লজ্জাশীলা এবং নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছার গুরুত্ব তারা কম দেন। তবে আমাদের পুরুষ-শাসিত সমাজে পুরুষরা নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছার অনেক গুরুত্ব দেন। বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে এখানের অধিকাংশ পুরুষই লালায়িত। বিয়ের আগে সেক্স এডভেঞ্চার আর বিয়ের পর মাঝে মধ্যে ঘরের ডাল ভাত রেখে বাইরে পোলাও বিরিয়ানি খাওয়া তাদের কাছে দোষের কিছু নয়!
অথচ একই কর্ম যদি নিজের স্ত্রী করে তবে পরদিনই তাদের ভাগ্যে জুটবে কলঙ্কিনী উপাধি।
নিয়মিত বা অনিয়মিত নারীর সঙ্গ পাওয়া লক্ষ পুরুষ নিজের বিয়ের আগে বের হোন সতিচ্ছেদের সন্ধানে। হাত চালিয়ে বিশেষ অঙ্গে ‘কড়’ পড়ে যাওয়া পুরুষ নিয়ত খুঁজেন সতি নারী। অবাক করার মত একটি ব্যাপার হলো, যে পুরুষ বিয়ে করেননি তিনিও একটি ভার্জিন মেয়ের সঙ্গ চান অভিজ্ঞতা হিসেবে বিয়ের পূর্বেই, বিয়ের জন্যও খুঁজেন ভার্জিন মেয়ে, বিয়ের পর ‘বিরিয়ানি’ মিশনেও চান ভার্জিন মেয়ে!!!
যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষদের ধ্যানে, জ্ঞানে শুধুই ভার্জিন!!! এতো ভার্জিন সাপ্লাই দিতে তো ভার্জিন বানানোর কারখানা লাগবে!
আমি নিশ্চিত এই দেশে Hymenorrhaphy বা hymenoplasty (hymen reconstruction surgery- সতিচ্ছেদ্য পুনরুদ্ধার সার্জারি) একটি জনপ্রিয় অপারেশন হত, যদি সুযোগ সুবিধা থাকতো।
“মনে রাখবেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষের সাইকোলজি নিয়ে কথা বলছি, মেয়েদের অবাধ যৌনাচারের সার্টিফিকেট দিতে বসিনি।”
বিয়ের পূর্বে কারো নারী সঙ্গ থাকলে কনের খুঁজে সে যদি ভার্জিন মেয়ে খুঁজে সেটা খুবই অনৈতিক। ভার্জিন খুঁজেই, এমন কি মেয়েটার সাথে অন্য ছেলের মানসিক সম্পর্ক থাকলেও অধিকাংশ পুরুষরা মেনে নিতে পারেন না, সারা জীবন নিজের স্ত্রীকে সন্দেহের চোখে দেখেন। কি অসুস্থ মানসিকতা!
অথচ কোনো মেয়ের তার বিবাহিত পুরুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার নেই!
বিয়ের পূর্বে কয়জন নারীকে নাচালো, কয়জন নারীর সাথে ঘুমালো… এইসব প্রশ্ন করলে সংসার আর করা হবে না। আর আমাদের সমাজের অনেক নারী যেনো মেনেই নিয়েছেন, বিয়ের আগে পুরুষদের ঐসব ‘একটু’ বদ-অভ্যাস থাকেই। সবই বয়সের দোষ!
নিজের যদি দোষ থাকে তবে নিজের সহধর্মীনীর দোষ খোজার অধিকার রহিত হয়। নিজের স্ত্রীর কবে কার সাথে সামান্য মানসিক প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো সেটা নিয়ে মন খারাপ করে বিবাহিত জীবনের আনন্দ মাটি করার মানে হয় না। বিয়ের পর স্ত্রী আপনার প্রতি কতোটা বিশ্বাসী আর আপনি তার প্রতি কতোটা বিশ্বাসী সেটা বেশি জরুরি। আর বিশ্বাসটা একপক্ষীয় কখনোই নয়, বিশ্বাসী হোন বিশ্বাসী পাবেন|

ডা. এনামুল হক এনাম : প্রভাষক, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।


Read more:   
BD Health Care




যৌন দূর্বলতা

যৌন দূর্বলতা আজ আমাদের সমাজে একেবারেই একটি সাধারণসমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। যথাযথজ্ঞান না থাকার কারণে অনেকতরুণরাও নিজেদের যৌনতায় দুর্বলভেবে থাকেন। কিন্তু দেখা যায় বিবাহিত জীবনে বাংলাদেশে অধিকাংশ পুরুষই যৌন দূর্বলতা সমস্যায় আক্রান্তহন। তারও রয়েছে বিভিন্ন কারণ। 
অথচ দেখা যায় অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকারকারণে প্রকৃত তথ্যথেকে অনেকে বঞ্চিত হন, এইদূ র্বলতার কারণে অনেক কুসংস্কারওসমাজের মানুষেরমনে বাসা বেধে আছে। আর এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু যৌনসামগ্রী বিক্রেতারা নানা প্রকারকথায় ভুলিয়ে কোমলমতি এবং সহজসরল মানুষদেরকে প্রতারিত করে থাকে। বাস্তব জ্ঞানটা না থাকার কারণে অনেক পুরুষকেই দেখা যায়

 নিয়মিতনানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধসেবন করতে। অথচ তারা জানেনইনা যে তারা কি ভয়াবহ বিপদেরদিকে এগোচ্ছেন।বিষয়টা সম্পর্কে আরো ভালধারণা লাভের জন্য আসুন জেনে নেই- একজন পুরুষের যৌন বিষয়কশারীরবৃত্তীয় কাজ গুলো কি কি।যৌন ইচ্ছা থাকা।লিঙ্গত্থান বা ইরেকশন হওয়া, যেটি পুরুষাঙ্গে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাবারকারনে হয়ে থাকে।পুরুষাঙ্গ দিয়ে সিমেননির্গমন ।পেনিস বা পুরুষাঙ্গের শিথিলতা।এসব কিছুর মধ্যে পুরুষের লিঙ্গউত্থানে সমস্যাটিই প্রকটসমস্যা হিসেবে চিহ্নিতকরা হয়ে থাকে । এইসমস্যাটি নানা বিধকারনে হতে পারে।তবে এটা জেনে রাখা দরকারযে আমাদের সমাজের মানুষেরবেলায় দেখা গেছে এর বড়একটা কারন হলো মনস্তাত্বিক,এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিস্কের রোগের কারনেওএমনটি হতে পারে। পুরুষাঙ্গের ধমনি সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরারযথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণকরতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্মদেয়।এবার পুরুষের যৌন দূর্বলতা সৃষ্টিরপেছনে নিচের কয়েকটি কারণ লক্ষ্যকরুন :-আমাদেরদেশে ছেলেরা অল্পবয়স থেকেইনানা প্রকার যৌনঅনাচারে লিপ্ত হয়ে যখন বিয়ের বয়স হয়তখন দেখা যায় তারনানা প্রকার যৌনসমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবংতার সাথে তীব্র যৌনদূর্বলতা তো থাকেই।মানুষের বয়স বাড়ারসাথে সাথেশারীরবৃত্তীয়এবং মানসিক যেসবপরিবর্তন হয় তা অনেকসময় এতে প্রভাবফেলে অর্থাৎ পুরুষেরযৌন দূর্বলতারসৃষ্টি করে থাকে।কিছু কিছু রোগেরকারনে পুরুষের এমনসমস্যা হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস হওয়া,স্থুলতা, অন্য এন্ডোক্রাইনবা হরমোনেরসমস্যা দেখা দেয়া,প্রস্টেট গ্রন্থি বড়হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপবা হাইপারটেনশনহওয়া ইত্যাদি।ধুমপান একদম প্রত্যক্ষভাবে লিঙ্গত্থান ব্যর্থহবার একটি বড় কারন।মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে যে মজ্জাথাকে (spinal cord)তাতে আঘাতপেলে কিংবা তারোগাক্রান্ত হলেও এমনসমস্যা দেখা দেয়।এ ছাড়া ডিপ্রেসন,এঙ্গার কিংবা বিভিন্নমানসিক চাপবা উত্তেজনার কারনেওলিঙ্গোত্থানে সমস্যাদেখা দেয়।পুরুষাঙ্গেরনিকটবর্তী স্থানেরেডিওথেরাপীদিলেও এমনসমস্যা হতে পারে।কিছু কিছু মেডিসিনআছে যা পুরুষের অমনক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এরমধ্যে আছে মানসিকরোগের মেডিসিন,কিছু স্টেরয়েড, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগেরমেডিসিন,নেশা উদ্রেককারীমেডিসিন যেমনকোকেন, গাজা,অধিকমাত্রায় এলকোহলসেবন ইত্যাদি।

মুখগহ্বরে অস্বাভাবিক রং এর চিত্র ফলাফল


কার্যকর চিকিৎসা :-আজকাল অনেক অসাধু ব্যক্তিদেরদেখা যায় দেশী-বিদেশী বিভিন্নব্লগে এবং ওয়েবসাইটে পুরুষের যৌনদূর্বলতা দূরীকরণে ভায়াগ্রা এবংসিলডেনাফিল এর মত মারাত্মকপার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী ঔষধক্রয় করার জন্য বিজ্ঞাপনদিয়ে থাকে। অথচ এইঔষধগুলি একেবারে সেক্সলেসঅবস্থায় কিছু কিছুক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথিচিকিৎসকরা অতি সাবধানতারসাথে প্রেসক্রাইব করে থাকেন।কারণ এইগুলি অনেকেরক্ষেত্রে এতটাই মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যেসেবনকারী হৃদপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধহয়ে মারাও যেতে পারেন।সবচেয়ে বড় কথা হলো এইগুলি পুরুষেরযৌন দূর্বলতা সমস্যারকোনো সমাধানই করে না। শুধুমাত্রলিঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য রক্তেরগতি বাড়িয়ে এটাকে উত্তেজিতকরে রাখে অর্থাৎআপনাকে সারা জীবন ধরেই এই ঔষধখেয়ে যেতে হবে। আর এক সময় দেখবেন আপনার যৌন জীবন তথা পুরুজীবনেই ভয়াবহ বিপর্যয়েরকালো অন্ধকার নেমে এসেছে।অথচ পুরুষের যৌন দূর্বলতা যে কারণেইসৃষ্টি হোক না কেন যথাযথহোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় খুবসহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এখানে নেই কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অল্প কিছু দিনেরপ্রপার হোমিও চিকিত্সাতেই যৌনদূর্বলতা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে যত কারণথাকে সব গুলিই একেবারে মূলথেকে নির্মূল হয়ে যায়এবং শরীরে আবার আগের মত সুস্থঅবস্থাটা তৈরী হয়ে যায়। তখন আরকোনো ঔষধই খাওয়ার দরকারপড়ে না। দৈনন্দিন স্বাভাবিকখাবার দাবার থেকেই আগের মতযৌন শক্তি সঞ্চিত হতে থাকে। তাইযৌন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায়সবার আগে হোমিওপ্যাথিকেঅগ্রাধিকার দিন। অন্তত এটা বলতে পারি,ট্রিটমেন্টটা যদি যথাযথ হয়তাহলে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সানিয়ে কেউ ঠকবেন না।



READ MORE : Health Care Solution



হেপাটাইটিস থেকে বাঁচুন



যকৃত তথা লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। মানুষের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় লিভার অত:প্রত ভাবে জড়িত। আমরা প্রতিদিন যা খাই তা হজম হয়ে রক্তে প্রবেশের আগে লিভারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে হিসেবে লিভারের কাজ অনেকটা পোর্টের মত। যা কিছু শরীরে প্রবেশ করছে তার ভাল মন্দ বাছাই করে ভালটা রাখা এবং মন্দটাকে অপসারণ করার কাজটি সমপাদন করে লিভার। এছাড়াও, লিভার রক্তে বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন সিনথেসিস তথা সংশ্লেষ করে। উক্ত প্রোটিনগুলোর মাধ্যমে রক্তে বিভিন্ন পদার্থ পরিবহন, রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তের তারল্য বজায় রাখার দায়িত্ব লিভার বহন করে। ভিটামিন এ, ই ও বি-১২ এর মত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সঞ্চয়ের কাজ করে লিভার। লিভার বিভিন্ন ওষুধকে ব্যবহার উপোযোগী করে ও বিষাক্ত পদার্থকে বিষমুক্ত করে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, লিভার রোগে আক্রান্ত হলে তা পুরো মানবশরীরে অত্যন্ত বিরুপ প্রভাব ফেলে।
কতগুলো ভাইরাস লিভারে স্বল্পমেয়াদী এবং কতগুলো ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসগুলোকে বলা হয় হেপাটাইটিস ভাইরাস এবং সৃষ্ট রোগকে বলে হেপাটাইটিস। মানব লিভার প্রধানত পাঁচটি ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়। ইংরেজী বর্ণমালার প্রথম পাঁচটি অক্ষর দিয়ে এদের নাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে হেপাটাইটিস এ,বি,সি,ডি এবং ই। এর মধ্যে হেপাটাইটিস এ ও ই লিভারে স্বল্পমেয়াদী প্রদাহ করে এবং হেপাটাইটিস বি, সি ও ডি দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ করে।

Hepatitis Cure




বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। হেপাটাইটিস বি দ্ব্বারা প্রতি বছর স্বল্পমেয়াদী প্রদাহে আক্রান্ত হয় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ এবং প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহে আক্রান্ত থাকে। সে হিসেবে সারা বিশ্বে প্রতি ১২ জনে একজন হেপাটাইটিস বি অথবা সি দ্ব্বারা আক্রান্ত। প্রতি বছর দীর্ঘমেয়াদে হেপাটাইটিস সি দ্ব্বারা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ কোটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মানুষের মৃত্যুর কারণের দিক দিয়ে হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত সিরোসিসের অবস্থান দশম।
উক্ত পরিসংখ্যানের আলোকে হেপাটাইটিস রোগের প্রাদূর্ভাব ও ভয়াবহতা বিবেচনা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ শে জুলাইকে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে তাল মিলিয়ে ২৮ শে জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষ্যে হেপাটাইটিস সমপর্কে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে প্রতি বছর আমাদের দেশেও হেপাটলজি সোসাইটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন উক্ত দিবসটি পালন করে আসছে।
মানব দেহের উপর হেপাটাইটিস রোগের প্রতিক্রিয়া
হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলোকে সংক্রমণের মাধ্যমের ওপর ভিত্তি করে দু’ভাগে ভাগ করা হয়: এক, পানি ও খাদ্যবাহিত ভাইরাস- হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ এবং দুই, রক্ত কিংবা দূষিত সিরিঞ্জ-এর মাধ্যমে বাহিত ভাইরাস- হেপাটাইটিস ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’।হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ ভাইরাস দ্বয় ছড়ায় দূষিত পানি এবং খাবারের মাধ্যমে। ফলে, রাস্তার ধারের খোলা খাবার, আঁঁখের রস, শরবত ও দূষিত খাবার এ ভাইরাসে আক্রান্ত করার জন্য দায়ী। এছাড়া, যারা শহরে বাস করেন কিন্তু পানি না ফুটিয়ে পান করেন কিংবা যারা গ্রামে গঞ্জে টিউবয়েলের পানির পরিবর্তে ডোবা-নালা-পুকুর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করেন তারাও হেপাটাইটিস ‘এ’ বা ‘ই’ তে আক্রান্ত হতে পারেন।

 ভাইরাসদ্বয় পানি বা খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশের ১৫-৬০ দিন পর জণ্ডিস দেখা দেয়। আমরা জানি, ভাইরাস কোষের ভিতর প্রবেশ করে কোষের ভিতরের ডিএনএ ও বিভিন্ন এনজাইম ব্যবহার করে বংশবৃদ্ধি করে। হেপাটাইটিস ভাইরাস লিভারের কোষে আক্রমণ করে। লিভারের কোষ নষ্ট হলে বিলিরুবিন রক্তে প্রবেশ করে। ফলে, রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যায় এবং জণ্ডিস দেখা দেয়। এছাড়াও, লিভার আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, পেটের ডান দিকে পাজরের নিচে ব্যথা নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে, হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ ভাইরাস সবাইকে সমান মাত্রায় আক্রান্ত করে না। এ কারণে, রোগের লক্ষণের মাত্রায় ভিন্নতা দেখা যায়। ‘এ’ ভাইরাস সাধারণত শিশুদের বেশী আক্রমণ করে এবং প্রাপ্তবয়স্করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় ‘ই’ ভাইরাসের শিকার। ভাইরাসদ্ব্বয় দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায় বিধায় বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় মহামারীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে বন্যার সময় হেপাটাইটিসের মহামারীর জন্য দায়ী হেপাটাইটিস ‘ই’ ভাইরাস।  
 হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’-কে বলা হয় সেল্ফ লিমিটিং ডিজিজ। অর্থাত্, আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এদেরকে শরীর থেকে দূর করার জন্য যথেষ্ট এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জণ্ডিস আপনাআপনি সেরে যায়। সাধারণত হেপাটইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ মারাত্মক কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হেপাটিক ফেইলারের মত ভয়াবহ পরিণতি আনতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের হেপাটিক ফেইলার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। যদি জণ্ডিসে আক্রান্ত কোন রোগী অস্থিরতা, অস্বাভাবিক আচরণ করে বা অজ্ঞান হয়ে যায়, তখন বুঝে নিতে হবে যে তা জরুরী অবস্থা এবং কোন বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের স্মরণাপন্ন হতে হবে এবং হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।  
 হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস মূলত রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে, বাচ্চার কোমল ত্বকের সংস্পর্শে মা থেকে বাচ্চাতে, লালার মাধ্যমে, একই সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ যৌনমিলনের মাধ্যমেও ভাইরাস দুটি ছড়ায়। এছাড়াও, আকুপাংচার, মুসলমানী, নাক-কান ফুঁড়ানো, নাপিতের ক্ষুর ইত্যাদি ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার মাধ্যমে এরা ছড়াতে পারে। আক্রান্ত মায়ের শিশু সন্তান, আক্রান্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বহুবার রক্তগ্রহনকারী রোগী, মাদকাসক্ত ব্যক্তি, মানসিক অবসাদগ্রস্থ ব্যক্তি, স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথা হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ যেমন ডাক্তার, নার্স, ল্যাবরেটরীতে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, দন্তরোগের চিকিত্সকগণ এই ভাইরাসদ্ব্বয়ে আক্রান্ত হওয়ার জন্য অত্যধিক ঝুকিপূর্ণ।
হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশের পর এক থেকে ছয় মাস সুপ্তাবস্থায় থাকে। অত:পর, লিভার আক্রমণের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণত ‘এ’ ও ‘ই’ ভাইরাসের মত জণ্ডিস এই ভাইরাস দুটি দিয়ে হয় না। মূলত দুর্বলতা, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, ক্ষুধামন্দা, বুকের নিচে পেটের ডানদিকে অস্বস্তি ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে জণ্ডিস, জ্বর ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তবে, এই ভাইরাসদ্ব্বয় দীর্ঘদিন যাবত নিরবঘাতকের মত কাজ করে এবং এই সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে স্পষ্ট কোন লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু, এ অবস্থায় অন্যান্য ব্যক্তির মধ্যে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। 
‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস যখন লিভারে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ সৃষ্টি করে, তখন মানবদেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তবে এই প্রতিরোধ হেপাটাইটিস ‘এ’ বা ‘ই’ ভাইরাসকে শরীর থেকে দূর করতে পারে কিন্তু হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ (hepatitis c cure) -কে পুরোপুরি দূর করতে পারে না।  দীর্ঘদিন যাবত ‘বি’ অথবা ‘সি’ ভাইরাস ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যে যুদ্ধ চলতে থাকে তার ফলে লিভারে ফাইব্রোজেনেসিস এবং নেক্রোসিস নামক বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং পরিণামে তা লিভাব সিরোসিসের দিকে ধাবিত হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে সিরোসিস থেকে হেপাটিক ফেইলিউর ও লিভার ক্যান্সার নামক মারাত্মক দশায় উপনীত হতে পারে।
হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে আক্রমণ করে বিধায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোন প্রভাব পড়েনা এবং  উক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। তবে, রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় লিভার সিরোসিস হয়ে যাওয়ার পর। কাউকে রক্ত দিতে গিয়ে বা অন্য কোন অসুস্থতার কারণে রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে হেপাইটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’-এর উপস্থিতি আবিষ্কার করা হয়। এসকল ক্ষেত্রে ঠিক মত চিকিত্সা গ্রহণ করলে লিভারের দীর্ঘ মেয়াদী প্রদাহ থেকে লিভার সিরোসিসে রূপান্তরকে প্রতিহত করা সম্ভব। কিন্তু,বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের মানুষের একটি বড় অংশ তাদের শরীরের এই ভয়ংকর ভাইরাসদ্বয়ের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছে না এবং সঠিক চিকিত্সা গ্রহন করতে পারছে না।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় হেপাটাইটিসের প্রভাব
হেপাইটাইটিস ভাইরাস জনিত লিভার রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করা কতটা জরুরী তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এছাড়া লিভার সেন্টারের অভিজ্ঞতায় এটাও প্রতীয়মান হয়েছে যে লিভার রোগীদের একটি বড় অংশ তখনই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে আসেন যখন তাদের রোগ অনেকদূর অগ্রসর হয়ে গিয়েছে। এর আগে তারা বিভিন্ন কবিরাজ,বৈদ্য,গ্রাম্যডাক্তারের সরণাপন্ন হয়ে ভুল চিকিত্সা নিতে থাকেন অথবা সাধারণ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েই বসে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে উক্ত রোগীদের চিকিত্সা করা আরও কঠিন ও ব্যয়বহুল। অনেক পরিবারই এই ব্যয় বহন করতে সক্ষম হন না কিংবা অবহেলা করেন,যার ফলশ্রুতিতে উক্ত রোগীদের একটি অংশ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। সুতরাং,যথাসময়ে যথাস্থানে চিকিত্সা গ্রহণ করার ব্যাপারে সচেতন হওয়াও অনেক জরুরী।  

আমরা দেখেছি যে, দীর্ঘ মেয়াদী লিভার প্রদাহ ও সিরোসিসের জন্য দায়ী মূল ভাইরাস দুটি হলো হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস। বাংলাদেশে নবাগত শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ সবাই বি ও সি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে আছে। এর পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো: হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস সমপর্কে সচেতনতার অভাব,সার্জারী, গাইনী ও ডেন্টিস্ট্রীর কাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতীগুলো ঠিকভাবে জীবানুমুক্ত না করা,উত্স যাচাই না করে রক্ত গ্রহণ,ইনজেকশন ঠিকমত ডিসপোস না করা এবং নাপিত কতৃক একই ব্লেড পুন:পুন: ব্যবহার। এছাড়া,এমন অনেক পরিবার পাওয়া যাচ্ছে যাদের একাধিক সদস্য হেপাটাইটিস ‘বি’-তে আক্রান্ত। মূলত অনিরাপদ যৌনমিলনের কারণে এবং স্বামী-স্ত্রীর একজন হেপাইটাইটিস ‘বি’-তে আক্রান্ত থাকলে অন্য একজন হেপাটাইটিস ‘বি’-এর টিকা না নেয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া, জন্মের সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ সমপর্কে অজ্ঞতার কারণে আক্রান্ত মা থেকে শিশুতে হেপাটাইটিস বি ছড়িয়ে পড়ছে।

হেপাটাইটিস বি এবং সি আক্রান্ত ব্যক্তি শুধু যে ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা নয়। বরং,এর প্রভাব পড়ে উক্ত ব্যক্তির পরিবারে,সমাজে,এমনকি পুরো রাষ্ট্রে। যে ব্যক্তি রক্তে হেপাটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’ বহন করছেন তিনি পরিবারের অন্য একজন সদস্যের আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারেন। রক্তে হেপাটাইটিস ‘বি’ বহনকারী ব্যক্তি যোগ্যতা থাকা সত্যেও বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেডিকেলি আনফিট বিবেচিত হন। পরিবারের একজন কর্মক্ষম ব্যক্তির লিভার সিরোসিস হলে তিনি অসুস্থতার কারণে কোন পেশায় নিয়োজিত হতে পারেন না। বরং,সিরোসিস চিকিত্সার জন্য নিয়মিত অর্থ ব্যয় করতে হয়। ফলে, পরিবারের অর্থনীতির জন্য তিনি একটি বোঝা হয়ে দাড়ান। একটি সমাজে এরুপ বেশ কিছু লোক যদি অকর্মক্ষম হয়ে পড়ে থাকেন,তা সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি বাঁধা হিসেবে কাজ করে। সমাজে তারা হেপাটাইটিসের উত্স হিসেবে কাজ করেন। এ ব্যক্তিদের পেছনে রাষ্ট্রের চিকিত্সা ব্যয়ও বেড়ে যায়। অথচ, একটু সচেতন হলে এবং সময়মত টিকা গ্রহণ করলে উপরোক্ত অনেক ব্যক্তিই দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহ প্রতিরোধ করতে পারতেন। অনুরুপ, মানুষের মাঝে উক্ত রোগ সমপর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকলে যথাযথ সময়ে রোগ নির্ণয় করা, চিকিত্সা শুরু করা এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগে পরিণত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়াও সম্ভব।

হেপটাইটিস রোগের  treatments for hepatitis চিকিত্সা বাংলাদেশেই হয়। এর জন্য অযথা বিদেশে ছোটাছুটি করা অবান্তর। আমরা দেখেছি যে, হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং হেপটাইটিস ‘ই’ দ্ব্বারা সৃষ্ট হেপাটাইটিস রোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে সেড়ে যায়। যথাযথ বিশ্রাম নিলে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত কিছু ওষুধ সেবন করলে ও নিয়মমত খাবার গ্রহণ করলে এই রোগ আপনাআপনিই ভাল হয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি  করে চিকিত্সা করা লাগতে পারে। যেমন: রোগীর যদি এমন ক্ষুধামন্দা,বমি বমি ভাব ও বমির প্রবণতা থাকে যে রোগী মুখে কোন খাবার গ্রহণ করতে পারছে না। এছাড়া, গর্ভবতী মহিলা ‘ই’ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ও মহামারী আকারে ভাইরাল হেপাটাইটিস দেখা দিলেও হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে।    

হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কয়েকটি পরিণতি হতে পারে। সে লক্ষণহীন অবস্থায় হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের সারফেস এন্টিজেন বহন করতে পারে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে নিয়মিত ফলোআপ-এ থাকতে হয়, যেন যে কোন সময় ভাইরাস বংশবৃদ্ধি শুরু করলে চিকিত্সা করা যায়। যে সকল রোগী লক্ষণহীন অবস্থায় থাকে, কিন্তু ভাইরাস লিভারে একটিভ থাকে তথা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ইনজেকশন বা মুখে নেয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা যায়, যা বাংলাদেশে সহজপ্রাপ্য। এছাড়া বাংলাদেশের লিভার বিশেষজ্ঞগণ ‘বি’ ভাইরাস থেকে সৃষ্ট সিরোসিস রোগের চিকিত্সাও সফলতার সাথে করে আসছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস বহন করছেন তাদের চিকিত্সাও বাংলাদেশে হচ্ছে এবং নতুন চিকিত্সায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রোগীকে ভাল করা সম্ভব। এমনকি,‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসজনিত লিভার ক্যান্সারের hepatitis c treatment cost ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্ল্যানটেশন করার চেষ্টাও বাংলাদেশের লিভার বিশেষজ্ঞরা শুরু করেছেন।

হেপাটাইটিস রোগ থেকে মুক্তির উপায় Cures for hepatitis 
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের কাছে যে বিষয়টি দিবালোকের মত স্পষ্ট তা হলো হেপাটাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আমাদের ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার, সিমেপাজিয়াম, আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে। দেশের মিডিয়ার ভুমিকা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী। সাংবাদিক বন্ধুগ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক আর্টিকেল ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণমানুষের মাঝে হেপাটাইটিসের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সমপর্কে তথ্য পৌছে দিবেন। ভবিষ্যতে হেপাটাইটিস রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার কল্পে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। বাংলাদেশে সরকার যেমন টিকাদান (hepatitis treatment)কর্মসূচীকে উল্লেখযোগ্য সফলতায় নিতে সক্ষম হয়েছে, তেমনি সরকারের উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সহযোগীতায় হেপাটাইটিস রোগের ব্যপ্তিও কমিয়ে আনা সম্ভব।

পারিবারিক ও সামাজিকভাবে লজ্জায় পড়ার ভয়ে রক্তে হেপাটাইটিস বি বহনকারী অনেক ব্যক্তি তা প্রকাশ করেন না। ফলে, তারা যথাসময়ে চিকিত্সা গ্রহন করেন না। এছাড়া, বিভিন্ন ভুল ধারণার কারণে তারা তাদের কর্মস্থল থেকে ছিটকে পরেন। এ সকল ব্যক্তিদের মানসিক সাহস প্রদান করা এবং কর্মস্থলের প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে  কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেয়া গেলে একদিকে তারা চিকিত্সা গ্রহনে আত্মবিশ্বাসী হবেন, অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবেও তাদের পরিবার ও সমাজ উপকৃত হবে। যথাসময়ে চিকিত্সা গ্রহণ করার কারণে বি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবও কমে আসবে।

উপসংহার: 
প্রতি বছর বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসের একটি স্লোগান থাকে। এবারের স্লোগানটি হলো- “হেপাটাইটিস প্রতিরোধ: নির্ভর করছে আপনার উপর।” অর্থাত্ হেপাটাইটিস প্রতিরোধে ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতা এবং উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরী। সুতরাং, ব্যক্তি, সমাজিত ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী রিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা হেপাটাইটিস রোগের প্রতিরোধকল্পে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে যাবো। একমাত্র এভাবেই জনসচেতনতা তৈরীর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে হেপাটাইটিস মুক্ত বিশ্ব। 




Read more: 
BD Health Care

বীর্য ঘন করার উপায়



অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন বীর্য ঘন করার উপায় সম্পর্কে। অনেকে আবার ওষুধ খেয়ে ঘন করতে না পেরে অতিষ্ঠ । তারা জানতে চান আসলেই কি বীর্য ঘন করার কোন উপায় আছে কিনা! হাঁ প্রাকৃতিক কিছু জিনিস যা আমদের হাতের কাছেই পাওয়া যায় যেমন রসুন হতে পারে আপনার বিবাহিত জীবনের নতুন বন্ধু।
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
তবে যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে।
রাতে শুবার সময় ইসুপগুলের ভুসি পানি দিয়ে খাবেন ৭ দিন খান ফলাফল নিজেই পাবেন। কোথায় আছে দাদা খেলে দাদি খুশি নানা খেলে নানি খুশি এরেই নাম ইসুপগুলের ভুসি।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে এমনিতেই পুরুষের বীর্য ঘন হয়ে থাকে। যেমন প্রতিদিন দুধ, ডিম, মধু গ্রহণ করলে সাধারণত আর কোনো কিছুরই দরকার পড়ে না। অনেকে আবার সরাসরি ঔষধ খাওয়া শুরু করে দেন। তারও কোনো দরকার আছে বলে ডাক্তাররা মনে করেন না। কারণ পুরুষের বীর্য উত্পন্ন হয় সরাসরি তাদের খাবার থেকে। 


 আর যদি কিছু খেতেই মনে চায় তাহলে “শিমুল মূল চূর্ণ” এবং “শিলাজুত” প্রতিদিন ১ চামচ পরিমান সকালে পানিতে মিশিয়ে সপ্তাহ বা ১০ দিন খেতে পারেন। এতেই কাজ হয়ে যাবে। “শিলাজুত” আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এগুলো প্রাকৃতিক। হোমিওপ্যাথিতেও বীর্য ঘন করার দারুন কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলির কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং সারা বছরই আপনি খেতে পারবেন। কিন্তু আমরা রোগ-ব্যাধি ছাড়া কাউকেই কোনো প্রকার ঔষধ খাওয়ানোর পক্ষপাতি নই। 
ধন্যবাদ। 


Read more: 
BD Health Care

হস্তমৈথুনের কারণে কি রোজা ভঙ্গ হবে



প্রশ্ন: রমজানের দিনের বেলায় কু-অভ্যাস এর কারণে কি রোজা ভঙ্গ হবে; যদি বীর্যপাত না হয়?
উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
হস্তমৈথুন (কু অভ্যাস) রোজা ভঙ্গের কারণ। যে ব্যক্তি হস্তমৈথুন করেছে তাকে সেদিনের রোজা কাযা করতে হবে এবং এই মহাপাপ থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।


শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:
কেউ যদি রোজার দিন ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তমৈথুন করে এবং বীর্য বের হয় এতে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। যদি এ রোজাটি ফরজ রোজা হয়ে থাকে তাহলে তাকে এ রোজা কাযা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। কারণ রোজা রাখা বা রোজা না-রাখা কোন অবস্থাতেই হস্তমৈথুন করা জায়েয নয়। লোকেরা এটাকে কু-অভ্যাস বলে থাকে। সমাপ্ত [ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায, (১৫/২৬৭)]


Ramadan Musterbate


শাইখ ইবনে উছাইমীন বলেন:
“যদি রোজাদার ব্যক্তি হস্তমৈথুন করে এবং বীর্যপাত হয় তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। যেদিন হস্তমৈথুন করেছে তাকে সেদিনের রোজা কাযা করতে হবে। তবে তাকে কাফফারা দিতে হবে না। কারণ কাফফারা শুধু সহবাসের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করলে সেক্ষেত্রে ফরজ হয়।  তাকে তার কৃতপাপের জন্য তওবা করতে হবে।” সমাপ্ত [ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃষ্ঠা-৪৭৮]
উপরোক্ত হুকুম প্রযোজ্য হবে যদি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়। আর যদি বীর্যপাত না হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
শাইখ উছাইমীন ‘আল-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থ (৬/৩৮৮) এ বলেন:
যদি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত না হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। আল্লাহই ভাল জানেন।


Read more:  
BD Health Care




যোনিপথ Tight করুন ঘরে বসে




সেক্সের সময় যদি নারী পুরুষ উভয়ই আনন্দ না পান তাহলে সেক্স করার সকল মজাই বিফলে চলে যেতে পারে। নারীর কাছে যেমন পুরুষের শক্ত লম্বা এবং মোটা যৌনাঙ্গ সমাদৃত তেমনি পুরুষও চায় বড় দুধের টাইট যোনির মেয়ের সাথে সেক্স করতে। কিন্তু বাচ্চা জন্মের পর অনেক মেয়েরই যোনিপথ বড় হয়ে যেতে পারে যা অনেক সময় সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারন হয়ে দাড়ায়। কারন মেয়েরা যখন গর্ভবতী হয় সেসময় প্রায় ৭-৮ মাস পুরুষ সেক্স করতে পারেনা। যেকারনে সে অপেক্ষা করতে থাকে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত আর তারপর যদি স্ত্রীর যোনিপথ বড় বা ঢিলা হয়ে যায় তাহলে সে পুরুষ মোটা লম্বা যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে মজা পায় না। আমাদের দেশে অনেক মেয়েই এই সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু লোক লজ্জার কারনে মুখ ফুটে বলতে পারছেন না আবার এই সমস্যায় পড়ে স্বামী সংসার হারানোর উপক্রম হয়েছেন। তাদের জন্য           BD Health Care আজ নিয়ে এসেছে কিভাবে ঘরে বসেই টাইট করবেন নিজের যোনিপথঃ

আমলকীর সিরাপঃ আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি ফল আমলকী। দামে কম সহজলভ্য এই ফলটি যোনিপথ টাইট করার জন্য বাইরের দেশগুলোতে মেয়েদের যোনিপথে ব্যাপক পরিমানে ব্যবহার করা হয়। আমলকী ফল কিনে এনে অথবা সংগ্রহ করে পানিতে সিদ্ধ করুন। যখন আমলকী পানিতে গলে পানিটি পুরু হয়ে আসবে তখন মিশ্রণটি বোতলে সংগ্রহ করুন। এরপর যখনই মেয়েরা গোসল করতে যাবেন সিরাপটি যোনিপথের ভেতরে এবং বাইরে ম্যাসেজ করুন। প্রায় এক মাস এই নিয়ম অনুসরন করলে যোনিপথ টাইট হয়ে আসবে।
যোনিপথ Tight করুন ঘরে বসে এর চিত্র ফলাফল
Add caption

*কেগেল ব্যায়ামঃ এই ব্যায়াম অনুসরন করে অনেক মেয়েই জীবনে সুখ ফিরে পেয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে বাচ্চা হওয়ার পর নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে যোনিপথ ঠিক কুমারী মেয়ের মত টাইট হয়ে যায়। এই ব্যায়ামটিতে কুঁচকির মাংসপেশি বারবার সংকোচিত এবং প্রসারিত করা হয়। কুঁচকি ১০ সেকেন্ডের জন্য সংকোচিত করে ছেড়ে দিতে হয় আবার ১০ সেকেন্ডের জন্য সংকোচিত করতে হয় এভাবে প্রায় ১৫ বার পদ্ধতিটি রিপিট করুন। দিনে বিরতি দিয়ে দিয়ে ১০০-২০০ বার কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। প্রসাব করার সময়ও এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। প্রসাব করার সময় পেশি সংকোচিত করে ৫ সেকেন্ডের জন্য প্রসাব আটকে রাখুন তারপর ছেড়ে দিন।

*সুস্থ খাদ্যাভ্যাসঃ কেগেল ব্যায়ামের সাথে সাথে খাবারে বেশি পরিমানে ফল এবং শাকসবজি থাকাটাও খুবই জরুরী। এর ফলে ঢিলে হয়ে যাওয়া যোনিপথ খুব তারাতারি পুরনো রুপ ফিরে পায় আর সেক্স হয় পরিপূর্ণ।


*ভি টাইট জেলঃ এই ক্রিমটি যোনিপথ টাইট করার সবচেয়ে জনপ্রিয় জেল। জেলটি কিনে আনার পর সেক্সের ৫ মিনিট আগে যোনিপথের ভিতরে ও বাইরে প্রয়োগ করুন। বিশ্বাসযোগ্য না হলেও সত্যি মাত্র ৫ মিনিটেই যোনিপথ হয়ে যায় কুমারী একজন তরুণীর মতন।


পরিশেষে এটাই বলা যায় যুগ এখন অনেক পাল্টে গেছে তাই যোনিপথ বড় হয়ে গেলে লুকিয়ে না থেকে উপরের যেকোনো পদ্ধতি অনুসরন করে যোনিপথ টাইট করুন। নিজে সুখে থাকুন, স্বামীকেও সুখে রাখুন।


Read more:  
BD Health Care