সুস্থ দাঁত সুন্দর মাড়ি, কথাটি একেবারেই অযৌক্তিক নয়। সুন্দর হাসির জন্য সুন্দর দাঁত থাকা চাই। আর এ জন্য দাঁতের যত্ন অত্যাবশ্যক। আজকের আয়োজনে থাকছে দাঁত সুস্থ রাখার জন্য করণীয় কিছু পরামর্শ। সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে ঠোঁট যেন ব্যথা না পায়। ঠোঁটের আলাদা গুরুত্ব আছে। কারণ সুন্দর মুখের হাসি দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায়, মুখ দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায়। যে কারও হাসিই কিন্তু তার ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। এ কারণে মুখের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি হলো দাঁত। দাঁতের সুস্থতায় করণীয় কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া যাক -
০. স্বাভাবিকভাবে সামনের দাঁত ভাঙা থাকলে কিংবা সামনের দাঁত না থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। অনেকেই জানেন না যে, ভালো চিকিত্সার মাধ্যমে এটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নিয়মিত ব্রাশ এবং চিকিত্সকের পরামর্শে আপনার সুস্থ দাঁতে পাবেন সুন্দর হাসি। সামনের দাঁত ফিরে পাওয়ার জন্য ফিক্স ব্রিজ করাতে পারেন।
০. মুখ ও মুখগহ্বরের কীভাবে যত্ন নিতে হয় কিভাবে ওরাল হইজিং মেন্টেন করতে হয় এ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। মুখ একটা মাত্র উপায় যা দিয়ে শরীরে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ জন্য মুখ গহ্বর পরিষ্কার রাখার সঠিক নিয়ম জানা জরুরি। প্রতিদিন সকালে ও রাতে খাবারের পূর্বে ব্রাশ করে নেবেন।
০. দাঁত দিয়ে রক্ত পড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। ব্রাশ করার সময় দাঁত থেকে রক্ত পড়লে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। এ সমস্যার কারণ প্রচুর পরিমাণে পাথর জমা। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে মাড়িগুলোর পাথর পরিষ্কার করান এবং সুস্থ থাকুন।
০. মুখে ঘা হলে খাওয়া-দাওয়া করা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে ঘাগুলো বেশি দেখা যায়। ঘায়ের গভীরতায় মুখে ক্যান্সার হতে পারে। মুখের ঘা ভিটামিনের অভাব থেকে হয়ে থাকে। চিকিৎসক আপনাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন যা থেকে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। সচেতন হোন সুস্থ থাকুন।
০. আপনার বাচ্চাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করাটাই স্বাভাবিক। ৪ মাস বয়স থেকে যখন দাঁত উঠতে থাকে তখন থেকেই বাচ্চার সুস্বাস্থ্যে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। বাচ্চাদের দুধের বোতল দেবেন না। ফিডারে দাঁত নষ্ট হওয়ার এসিড ফরমেন্টেশন থাকে। এসিড ফরমেন্টেশন হলেই দাঁত গলে যায়।
- See more at: BD Health Care
0 comments:
Post a Comment