Flag Counter

সুস্থতায় যোগব্যায়াম


শরীরচর্চায় যোগ ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। যোগ ব্যায়াম মাংসপেশি বৃদ্ধি না করে সমস্ত শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এতে রক্ত সঞ্চালন, কোষ ও কলায় পুষ্টি, শ্বাসতন্ত্র, শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন, পরিপাকতন্ত্র প্রভৃতির অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে। নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের অভ্যাস মাংসপেশি ভালো রাখে। মেরুদণ্ড ও গ্রন্থিসমূহ কোমল, শক্ত এবং নমনীয় হয়। কারণ সামনে-পেছনে এবং উভয় পাশে শরীরকে নাড়াচড়া করা হয়। যোগ ব্যায়াম গ্রন্থি আর অন্যান্য যন্ত্রকে যেমন পুষ্ট ও সবল করতে পারে, অন্য কোনো ব্যায়াম তেমন করে পারে না।

সন্তুষ্ট হোন শরীর নিয়ে যোগ :
ব্যায়ামের সময় নিজের প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে হয় অনেক বেশি। সে কারণে অন্য উপকারের পাশাপাশি যোগ ব্যায়াম করলে শারীরিক গঠন নিয়ে আগের চেয়ে বেশি সন্তোষ ও কম সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। 

খাদ্যাভ্যাসে মনোযোগ :
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করা হয়। ফলে যোগ ব্যায়াম করলে খাদ্যাভ্যাসে মনোযোগ বাড়ে। এই সময় খাবারের প্রতিটি গ্রাস বা চুমুক এবং সুবাস, স্বাদ ও অনুভূতি উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
সুস্থতায় যোগব্যায়াম

ওজন নিয়ন্ত্রণ:
 যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে অর্জিত স্থিরতা-মনোযোগ মানুষকে ক্ষুধা ও ভরপেট অবস্থা সম্পর্কে সংবেদনশীল করে তোলে। ফলে খাবার গ্রহণের ব্যাপারটা ইতিবাচক হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

হূিপণ্ডের উপকার:
 রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা কমাতে  যোগ ব্যায়াম সহায়তা করে। এতে হূিপণ্ড ও রক্তনালির জন্য ভালো হয়।

সার্বিক সুস্থতা :
নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করলে মাংসপেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়ে। ধৈর্য বা সহনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি হূিপণ্ড, ফুসফুস ও রক্তনালি নিরোগ থাকে। এ ছাড়া যোগ ব্যায়ামের সাহায্যে উচ্চ রক্তচাপ, অজীর্ণ, অম্ল, বাত, পিঠেব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, অর্শ, প্লীহা বৃদ্ধি, অ্যাজমা, স্নায়ু সমস্যা, প্রভৃতি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 


 - See more at:  BD Health Care






0 comments:

Post a Comment