Flag Counter

এই সময়ে সুস্থ চুল

শীতের শুষ্কতা যাই যাই করে ফাল্গুনের বাতাসকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এ সময় ত্বকের যত্নে লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। কিন্তু রুক্ষ আবহাওয়ায় চুলও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তার ওপর ধুলাবালির ছড়াছড়ি তো আছেই। প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক দিন তেল অল্প গরম করে চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে মালিশ করতে হয়। শুধু তেল দিয়ে রুক্ষতা দূর করে চুলকে প্রাণবন্ত করা সম্ভব হয় না। আর তাই এই সময় চুলের জন্য আলাদা কিছু যত্ন নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। চুল এ আবহাওয়ায় তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, তাই ভালো মতো চুল পরিষ্কারের পর কন্ডিশনিংয়ের প্রয়োজন। তবে চুলের যত্নে আমরা যাই করি না কেন, প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে কী কী কারণে আমাদের চুল তার উজ্জ্বলতা ও প্রাণশক্তি হারায়। সাধারণত চুলের সবচেয়ে বেশি সমস্যাগুলো হলো :
 ০. চুলে খুশকি হওয়া। 
 ০. চুল ফেটে যাওয়া।
 ০. চুল পড়ে যাওয়া।  

চুলে খুশকির সমাধান : 
শীতকালে চুলে খুশকির সমস্যায় আমরা সবাই মোটামুটি কম-বেশি ভোগে থাকি। এই খুশকি দূর করার জন্য প্রাকৃতিক নির্যাস অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। চুলের খুশকির সমস্যার জন্য শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে মাথার তালু থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে অ্যালোভেরার রস লাগাতে পারেন। এরপর সুতি কাপড় দিয়ে ১০-১৫ মিনিট মুড়িয়ে রাখুন। এরপর কাপড় থেকে চুল খুলে  শুকিয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে দুবার অ্যালোভেরার রস চুলে লাগিয়ে খুশকি দূর করতে পারেন। এ ছাড়া তৈলাক্ত চুলে খুশকি বেড়ে গেলে তেলের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। চার টেবিল চামচ তেল নিলে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশাতে হবে। তেলটা একটু গরম করে নিতে পারেন। চুল পড়া কমাতে তেলের সঙ্গে আমলকীর রস মেশান। চুলের খুশকি দূরীকরণে আরও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য নিমপাতা বেটে সঙ্গে মধু আর একটু পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তৈরি মিশ্রণটি মাথায় দিলে ও খুশকিমুক্ত চুল পাওয়া সম্ভব। মিশ্রণটি মাথায় ভালোভাবে দিয়ে ৫ থেকে ২০ মিনিট পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। এ পদ্ধতিগুলো খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে। 
চুল পড়ে যাওয়া
চুল ফেটে যাওয়ার সমাধান : 
রুক্ষ আবহাওয়া আর ঋতু পরিবর্তনে স্বভাবতই চুলের আগা ফেটে যায়। এ কারণে চুলের উজ্জ্বলতা ও ঝলমলে ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দর ঝলমলে চুলগুলোর ফাটা রোধ করতে অলিভ অয়েল, লেবুর রস ও চায়ের লিকার অনেক উপকারী। 
০. অলিভ অয়েল : 
চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত অলিভ অয়েল লাগান। ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। পরের দিন চুল ধুয়ে ফেলুন।
 ০. লেবুর রস :
 লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে চুলের আগায় লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট চুল শুকিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। 
০. চায়ের লিকার : 
চায়ের ঠাণ্ডা লিকার আপনার চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে। চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করতেও এর জুড়ি নেই। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে চুলের আগা ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশি সমস্যা থাকলে এই প্রক্রিয়াগুলো সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন কিংবা ৪ দিন ব্যবহার করতে পারেন।

 চুল পড়ে যাওয়া :
 চুল পড়া রোধে পাকা পেঁপে খুবই কার্যকরী একটা উপকরণ। চুলে নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন পাকা পেঁপে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। এ ছাড়া শুষ্ক চুলের অধিকারীরা সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন তেল দিতে পারেন। এটা আপনার চুলের জন্য অনেক উপকার হবে। আর ভালো ফলাফলের জন্য তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে নিতে পারেন। মেথি চুলের শুষ্কতা কমিয়ে আনে। শুষ্ক চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। পরিশেষে বলা যায়, রমণীদের চুল সুরক্ষায় যত্নের বিকল্প নেই। চুলকে সবসময় পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে গেলে খোলা পরিবেশে পারলে একটা স্কাব ব্যবহার করুন। এসব করার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

 - See more at:  BD Health Care



0 comments:

Post a Comment