Flag Counter

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

জিমে না গিয়েই ওজন কমান

সাধারণত যখন আমরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালরির খাবার নিয়মিত গ্রহণ করি, তখন আমাদের ওজন বৃ্দ্ধি পায়। ওজন কমানোর উপায় হচ্ছে কম ক্যালরির খাবার গ্রহণ করা এবং শারিরিক কাজের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করা।
শুনতে এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার মনে হয়। কিন্তু, ৬০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্থূলকায় বা তাদের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি। এর কারণ আমরা খুব কমই শারিরিক পরিশ্রম করি। আসুন জেনে নিই জিমনেশিয়ামে না গিয়েই অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ বা ওজন কমানো কিছু উপায়।
১. প্রাণ খুলে হাসুন
হাসি সবচেয়ে ভালো ওষুধই নয়। এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচের পরিশ্রমহীন উপায়। মাত্র ১৫ মিনিট হাসিতে ১০ থেকে ৪০ ক্যালোরি খরচ হতে পারে। হাসির ফলে সেরোটোনিন নামে এক ধরনের হরমোন নি:সরিত হয়। যা আপনার ক্ষুধা কমিয়ে দেবে।
২. নাচুন
নাচ ক্যালোরি খরচের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুন্দর একটি উপায় হতে পারে। বিশেষ করে বেলি ড্যান্স। ঘন্টাখানেক নাচে চারশ থেকে ছয়শ ক্যালোরি খরচ হতে পারে। এক্ষেত্রে ঘরে বসেই আপনার রুমে কিছুক্ষণ নাচের অনুশীলন করতে পারেন।
৩. সহবাস
স্ত্রী সহবাস হতে পারে ক্যালোরি খরচের অন্যতম উপায়। মাত্র আধাঘণ্টা সহবাসে ১৬০ ক্যালোরি খরচ হতে পারে। তাছাড়া আধা ঘণ্টা ফোর-প্লে’র মাধ্যমে খরচ হতে পারে আরো ৫৫ ক্যালোরি।
৪. কেনাকাটা
আশ্চর্য হলেন? না আশ্চর্য হবেন না। এক ঘণ্টা শপিং বা কেনাকাটায় আপনি খরচ করতে পারেন ১৮০ ক্যালোরি। আর যদি মুদি দোকানের কেনাকাটা করে ভারী বোঝা বহন করেন তাহলে খরচ হতে পারে ২৬০ ক্যালরি। তবে খেয়াল রাখবেন, কেনাকাটার সময় খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না কিন্তু।
৫. দাঁড়িয়ে কাজ করা
যাদের ওজন বেড়ে গেছে তারা কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন। এটা প্রতি মিনিটে দুই বা তারও বেশি ক্যালোরি খরচ করতে পারে। আর এভাবে কাজ করলে এক বছরে আপনার ওজন কমতে পারে ১৬ থেকে ২০ পাউন্ড।
অফিসে মাঝে মাঝে হেঁটে আসুন। ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ মিরা রাসমুসেনের মতে, আপনি যদি অফিসে আসতে সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টা পরিমাণ হাঁটেন তবে বছরে ১০ পাউন্ড ওজন কমতে পারে আপনার।
৬. গান গাওয়া
একা একা গান গাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ব্যাপারটা কিন্তু খারাপ না। গান শোনার সাথে সাথে আপনিও গাইতে থাকুন। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা বাথরুমেও গাইতে পারেন। এভাবে আপনার খরচ হতে পারে ১৩৬ ক্যালোরি পর্যন্ত। সুতরাং আর দেরি কেন? কণ্ঠ ছাড়ুন জোরে……
৭. রান্না-বান্না
অনেকেই রান্নাকে ঝামেলা মনে করেন। তবে রান্নার কাজে মাত্র আধা ঘণ্টা সময় দিলে তা বার্ন করতে পারে প্রায় ১০০ ক্যালোরি।
৮. হিমশীতল পরিবেশ
অফিসে সেন্ট্রাল এসির হিমশীতল পরিবেশ অনেকেই পছন্দ করেন না। তবে এটা কিন্তু উপকারী! সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে এই পরিবেশ আপনার ওজন বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। সামান্য ঠাণ্ডায় প্রতি ঘণ্টায় আপনার ১০ ক্যালোরি বার্ন হতে পারে।
৯. ধোয়া-মোছা
আপনার ঘর নিজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে না। সেজন্য আপনাকে সময় তো দিতেই হবে। আর সে সময়টা দিয়ে যদি হয় ব্যায়ামের কাজ, তাহলে সমস্যা কী? ঘরবাড়ি, কাপড়-চোপড় বা ঘরের বিভিন্ন জিনিস ধোয়া-মোছা করে খরচ করতে পারেন কিছু বাড়তি ক্যালোরি। আধা ঘণ্টা ধোয়া-মোছা করে গড়ে একজন পুরুষ ১১০ ক্যালোরি খরচ করতে পারে। আর নারীদের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৯৫ ক্যালোরি।
১০. মাথার কাজ
সুডোকু, ক্রসওয়ার্ড পাজলের মতো বিভিন্ন মাথা খাটানো খেলায় আপনার বাড়তি ক্যালোরি খরচ করতে পারেন। আপনি যখন এ ধরনের খেলায় মাথা খাটাবেন তখন প্রতি মিনিটে প্রায় ১.৫ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

৩০ বছর বয়সে যেসব টেস্ট অবশ্যই করা উচিত

বয়সের সাথে বাড়ে শারীরিক জটিলতা৷ কিছু রোগের সূত্রপাত শুরু হয় ৩০ বছর বয়স থেকেই৷ তাই এই সময় থেকেই কিছু পরীক্ষা করে রাখা প্রয়োজন৷ এইসব পরীক্ষা আপনার শারীরিক সুস্থতা বুঝতে সাহায্য করবে৷ দেখে নিন চিকিৎসকদের মতে কী কী পরীক্ষা প্রয়োজন আপনার শরীর সুস্থ আছে কি না জানতে৷
১। ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা যে কোনো সময় যে কারো হতে পারে। আপনার বয়স যদি ৩০ হয় এবং এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিস পরীক্ষা না করে থাকেন তবে আজই পরীক্ষা করুন। নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য ৩০ বছর বয়সের পর অব্যশই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি। যেসব নারী অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন এবং সন্তানসম্ভবা, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাদের এফপিজি, ওজিটি এবং এইচবিএওয়ানসি অথবা গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন টেস্ট করাও জরুরি।
২। থাইরয়েড
৩০ বছর বয়সের পর অব্যশই থাইরয়েডের পরীক্ষা করা জরুরি। শরীরে হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপো থাইরয়েডিজম, থাইরয়েড ক্যানসার, থাইরয়েডিটিস আছে কিনা জানতে এই পরীক্ষা করা হয়। আর এগুলো দেখতে এফটিফোর, টিপিও, টিএসএইচ, মাইক্রোসোমাল অ্যান্টিবডি, এফটিথ্রি, এবং এটিএ থাইরোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।
৩। অ্যানিমিয়া
এই রোগটি দেখা যায় যখন রক্তে আয়রন, ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড, আয়রনের অভাব হয়। রক্ত ভালো আছে কিনা জানতে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি), ভিটামিন বি ১২ টেস্ট, সিরাম আয়রন টেস্ট, টিআইবিসি (টোটাল আয়রন বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি), ট্রান্স ফেরিন এবং আয়রন স্যাচুরেশন টেস্ট করানো উচিত।
৪। সিবিসি টেস্ট
সিবিসি টেস্ট বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট টেস্ট অন্তত বছরে একবার করা উচিত। এই পরীক্ষা করার ফলে হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা (সেল) এবং প্লেটেলেট গণনা করা হয়। শরীরের রক্তের কী অবস্থা তা সিবিসি চেকআপের মাধ্যমে জানা যায়।


৫। এসটিডি৩০ বছর বয়স হলে এইচিআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সাধারণত এইচআইভি/ এইডস, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, হারপেস এবং গনোরিয়া রোগে এসটিডি পরীক্ষা করা হয়। 

৭টি আয়ুর্বেদিক উপায়

ত্বক পরিস্কারের জন্য কাঁচা দুধ
মুখের ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়া পরিস্কার করার সব চাইতে প্রাচীন পদ্ধতি হলো কাঁচা দুধ। ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়ার ময়লা যা চোখে ধরা পড়ে না এবং ফেসওয়াস দিয়েও পরিষ্কার করা যায় না, তা দূর করতে কাঁচা দুধের তুলনা হয় না। এছাড়াও দুধ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ময়েচারাইজ ও উজ্জ্বল করে তোলে। বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর একটি তুলোর বল দুধে ভিজিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন প্রতিদিন। এক সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সমস্যা দূর হতে দেখতে পাবেন।

ত্বকের উজ্জলতা ও বয়সের ছাপ রোধে কমলালেবুর রস
কমলালেবুর রস ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। এবং কমলালেবুর রসের ভিটামিন সি-এর অ্যান্টিএইজিং উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ রোধে সহায়তা করে। এর জন্য আপনার লাগবে তাজা কমলালেবুর রস। একটি তাজা কমলা লেবুর রস বের করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে। এর সাথে দূর হবে ত্বকের বয়সের ছাপ।

ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা সবচাইতে প্রাচীন ও ভালো প্রাকৃতিক উপায় ব্রণের সমস্যা সমাধানে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সকল ধরনের ব্রন ও ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এটা ব্রন দূর করে না কিন্তু ব্রণের কারণগুলো দূর করতে সহায়তা করে। আর এর জন্য আপনার শুধুমাত্র অ্যালোভেরার পাতা লাগবে। একটি অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে এর ভেতরের রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের পরিবর্তন টের পাবেন।

ত্বকের রিঙ্কেল, পিগমেনটেশন, দাগ দূর করতে আলু
আলু অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা ত্বক থেকে সব ধরনের দাগ ও ছোপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। শুধুমাত্র একটুকরো আলু ত্বকে ঘষে নিলেই এই ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিদিন একটুকরো আলু মুখের ত্বকে ঘষে নিন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ত্বক থেকে দাগ উধাও হবে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি।

ত্বকের কোমলতায় ও মসৃণতায় মধু
মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে কোমল করে তুলতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের ব্রণের সমস্যায় তৈরি ক্ষুদ্র গর্তগুলো দূর করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ। হাত ও মুখ ভালো মতো ধুয়ে এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ২০/২৫ মিনিট। প্রতিদিন ব্যাবহারে বেশ ভালো ফল পাবেন।

ত্বকের যত্ন


আপনার যা জানা উচিত আমরা একজন মানুষের বয়স, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বুঝতে চেষ্টা করি তার মুখের দিকে তাকিয়ে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং বয়সের ভারে মানুষের মুখে ক্লান্তিবোধ এবং বয়সের ছাপ পড়ে। বয়সের জন্যে ত্বক কুঁচকে যায় এবং মুখে বলি রেখার জন্ম নেয়। কেউ কেউ আবার ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দিতে নারাজ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। তবে এসব কিছুর পেছনেই রয়েছে সুস্পষ্ট কিছু শারীরিক ও মানসিক কারণ। ১. পাশ্চাত্যে ট্যানিং অবসর বিনোদনের অবলম্বন হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ট্যানিং হলো শরীরের ত্বককে এমনভাবে তৈরি করা, যাতে রোদ ত্বকের কোনরকম ক্ষতি করতে না পারে। ২. তীব্র রোদের ভেতর ঘোরাফেরা করলে আপনার ত্বকের কতগুলো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমনঃ বিশেষজ্ঞরা বলছেন অতিরিক্ত রোদে পোড়ার কারণে ত্বকে ক্যান্সার হয়, ত্বক কুচকে যায় এবং পিগমেন্ট (ত্বকের বর্ণ নিয়ন্ত্রক পদার্থ) পরিবর্তিত হয়। ৩. অতিরিক্ত তাপে ত্বকের আদ্রতা হ্রাস পায়। রেটিন 'অ'-এর আবিস্কারক ড. কিগম্যান বলেছেন যে, মহিলারা যদি সূর্যালোক এড়িয়ে চলেন তবে তাদের মুখের ত্বক বাহুর ত্বকের মতই টান টান, মসৃণ ও কোমল থাকবে। লোক ভেদে, জাত ভেদে ত্বকের বর্ণও পরিবর্তিত হয়। জন্ম থেকেই যাদের ত্বকের রং ফ্যাকাসে-সোনালী এবং মাথার চুল লাল তাদের রোদে পুড়িয়ে ত্বক কালো করে ফেললে স্বাভাবিক বাদামী রং পেতে পারেন। রোদ পোহানো যাদের খুব প্রিয় তাদের মন খারাপ করার কোন কারণ নেই। তারা রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচার জন্যে ‘সানস্ক্রীন’ টানিয়ে রোদ লাগাতে পারেন যতক্ষণ খুশি। সবারই জানা উচিত বয়স বাড়লে মানুষের ত্বকের চর্বি গঠিত ডারমাসিসের (নীচের সাপোর্টিং অংশ) স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। ডারমাসিসে পানি এবং কিছু কোষ থেকে ‘কোলাজেন’ ও ‘ইলাস্টেন’ তৈরি হয়। ‘কোলাজেন ও ইলাস্টেন ত্বককে দৃঢ় করে এবং স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেটিকে আমরা সজীবতা, তারুণ্য ইত্যাদি বলি। বয়স বাড়লে ডারমিস আর আগের মত পানি এবং চর্বি ধরে রাখতে পারে না। নতুন কোষ উৎপাদন কমে যায়, ফলে উপরের ত্বকে পুরনো কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ সময়ই মানুষের মধ্যে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়। গালে, গলায়, ত্বকে ভাঁজ পড়ে, চামড়া কুঁচকে যায় এবং বিবর্ণ হয়ে পড়ে। সব সময় মনে রাখবেন অসুখ সারানোর চিকিৎসা করার চেয়ে আগে থেকে অসুখ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা ভাল। ত্বকের যত্ন নেয়ার তিনটি পয়েন্ট মনে রাখতে হবে। এক. ত্বক পরিষ্কার রাখা, দুই. ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা, তিন. ত্বক আর্দ্র রাখা। যত্ন সহকারে ত্বক পরিষ্কার করলে মেকআপ, সারাদিনের ময়লা এবং দেহনিঃসৃত ঘাম ইত্যাদি দূর হয়। ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার থাকে। কৃত্রিম উপায়ে ত্বক আর্দ্র রাখলে বয়সজনিত শুষ্কতা হতে পারে না এবং ত্বক সজীব থাকে। আপনি যদি নিয়মিত রোদ এড়িয়ে চলেন, ত্বকের যত্ন নেন, ব্যায়াম করে ত্বককে কর্মক্ষম রাখেন এবং প্রচুর পানি খান তাহলে আপনার ত্বক কখনো স্বাভাবিক সজীবতা ও লাবণ্যতা হারাবে না। আর বয়স আপনাকে কখনও ছুঁতে পারবে না। মনে রাখবেন সূর্য থেকে যে অতিবেগুনী রশ্মি বেরোয় তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ মেলানিন তৈরি হয়। আর এই অতিরিক্ত মেলানিন তৈরি হওয়ার কারণে ত্বকের রং-ই বদলে যেতে পারে। অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বক বাঁচাতে রোদে ছাতা ব্যবহার করুন। বিদেশে অবশ্য সানব্রেলা বলে ছাতা পাওয়া যায়। তাছাড়া ত্বকের যত্নে রয়েছে খাবারের বিশেষ ভূমিকা। নিচে উল্লেখিত জিনিসগুলো মিলিয়ে হাল্কা একটা নাস্তা জাতীয় খাবার তৈরি করে নিন। এ খাবার আপনার ত্বককে আরও পরিপুষ্ট করবে। ১ কাপ দই, ১টি কলা, আধা কাপ জাম, ৩ টেবিল চামচ আটা, ১ টেবিল চামচ ইস্ট, ১ টেবিল চামচ হেসিথিন, ১ চা চামচ দানাদার ভিটামিন সি, ডিমের আস্ত একটি কুসুম। পরিমাণমত জেলাটিন পাউডার। গন্ধ ও স্বাদ বর্ধক হিসেবে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

ছেলেদের ত্বক চর্চা

একটা সময়ে সৌন্দর্য চর্চা ছিল শুধুই মেয়েদের অধিকারে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। বর্তমানে সৌন্দর্য চর্চার বিষয়ে ছেলেরাও সমান সচেতন। আর তাই ভীড় বাড়ছে জেন্টস পার্লারগুলোতে। কেন নয়? সজীব আর প্রানবন্ত থাকতে ত্বকের প্রতি একটু বেশি যত্নবান তো হতেই হবে। ছেলেরা কীভাবে ত্বক সজীব রাখবেন, জেনে নিন কিছু টিপস- ত্বকের যত্ন: এসময় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সুন্দর রাখতে কেমিক্যালের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা ভালো। কেননা কেমিক্যাল ব্যবহারে ত্বকের কোমলতা ও উজ্জলতা কমে যেতে পারে। মুখ ও গলায় আলু, পাতিলেবুর রস, কচি শশার রস ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়। আলু পানিতে ধুয়ে পাতলা করে কেটে মুখ ও গলায় ১০ মিনিট ঘষতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের সজীবতা ফিরে আসবে। পেপে, গাজর, শশা, কমলা, আপেল পেষ্ট করে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। আর বাসায় এসব করতে না চান তাহলে জেন্টস পার্লার ও সেলুনে গিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করাতে পারেন। মাসে অন্তত দুইবার ফেসিয়াল করা উচিত। ফেসিয়াল করলে ত্বকের ব্লাক হেডস দূর হয়ে যায়। যারা সময়ের অভাবে অথবা অনভ্যস্ততার কারনে পার্লারে পরিচর্যা করতে পারেন না, তাদের জন্য ঘরে বসে ত্বকের পরিচর্যার দুটি সহজ পদ্ধতি- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা দুই চামচ কাঠবাদাম বাটা এবং মুগ ডাল গুড়োর সাথে ১চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো ভাবে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার এভাবে ত্বকের পরিচর্যা করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য: শুষ্ক ত্বকের জন্য দুই চা চামচ মুগ ডাল গুড়ো, সমপরিমান ময়দা , দুই চামচ আর্মন্ড ওয়েল, দুই চামচ প্রিপারমিন্ট ওয়েল সেই সাথে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট রাখুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মশ্চারাইজার মাখুন। নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জল।


মস্তিষ্ক তরুণ রাখতে ব্যায়াম

কালচে বাহুমূলের প্রতিকার


রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বগল কালো হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানানো হয়।   
কারণ
১। শেইভ করলে।
২। বগলে মৃত কোষের বিস্তার।
৩। অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে।
৪। প্রয়োজনের বেশি ঘর্ষণ করলে।
৫। বংশগত কারণে।
৬। ডায়াবেটিস থাকলেও এমনটা হতে পারে।
কালচেভাব দূর করার উপায়
লেবুর রস
লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন গোসলের আগে বগলে লেবু ঘষলে ধীরে ধীরে কালো দাগ হালকা হতে থাকবে। তাছাড়া গোসলের পর ত্বক নরম রাখতে মোয়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং কিছু দিনের জন্য ডিওডোরেন্ট ব্যবহার এড়িয়ে যেতে হবে।
ওয়াক্সিং
বাহুমূলে কালচেভাব হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে শেইভ করা বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করা। বরং ওয়াক্সিং করলে দাগ হবে না। এ পদ্ধতিতে ব্যাথা পেলেও লোম গোড়া থেকে উঠে আসবে এবং ত্বক ফর্সা দেখাবে।
আলু ও শসার রস
লেবুর মতো আলুতেও প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে আলু পাতলা করে কেটে বগলে ঘষতে হবে বা আক্রান্ত জায়গায় আলুর রস লাগাতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। একইভাবে শসার রস লাগালেও উপকার পাওয়া যাবে।
দাগ হালকা করার মাস্ক
এক্ষেত্রে প্রথমে আটা বা ময়দার সঙ্গে টকদই, লেবু এবং অল্প পরিমান হলুদগুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চন্দন ও গোলাপজল
চন্দন ও গোলাপজল দিয়ে তৈরি পেস্ট বগলের কালোভাব দূর করতে কাজ করে। চন্দন দাগ কমাতে এবং গোলাপজল ত্বক ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। উপকার পেতে পেস্টটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার বগলে কালোভাব হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে কিছুদিন ডিওডোরেন্ট ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন: অ্যান্টি ফাঙ্গাল পাউডার এবং ফিটকিরি ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া বাহুর নিচের কালো দাগ হালকা হয়ে গেলে পুনরায় ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে স্পর্শকাতর ত্বকের উপযোগী ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে হবে।


প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মুখ, হাত ও পায়ের যত্ন


প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মুখ, হাত ও পায়ের যত্ন
প্রয়োজনীয় টিপস: নখ ফাইল করা হয়ে গেলে আবার পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন। এবার বাফার দিয়ে নখের ওপরে লেগে থাকা ময়লা ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে হলদে ভাব দূর হবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
যাদের নখের হলদেভাব বেশি তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভ্যাজলিন লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে হলদেভাব কেটে যাবে। শেষে ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লোশন দিয়ে পাঁচ মিনিট মালিশ করে নিন।
নখ ভাঙার সমস্যা থাকলে প্রতি সপ্তাহে একবার অলিভ অয়েল গরম করে নখ ও আঙুল মালিশ করতে পারেন। এছাড়া নখ ভাঙা থেকে রেহাই পেতে নেইল হার্ডনার ব্যবহার করুন। এটি নেইল পলিশের মতো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
শুধু বাইরের যত্ন নয়, ভেতর থেকে যত্ন নিতে ভিটামিন বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনযুক্ত খাবার খান। কারণ পুষ্টির অভাবেও নখ ভেঙে যায়।
সবজি কাটলে নখে কালো দাগ পড়ে। একটা লেবু কেটে ঘষলেই তা নিমিশে দূর হয়ে যায়।

ত্বকের সহজ কিছু টিপস


ফেসিয়াল করা নেই বলে হঠাৎ কোন পার্টি, অথবা কোনো বিয়ের দাওয়াতে আমরা যেতে চাই না এবং এই ধরনের সমস্যাগুলো প্রতিনিয়তই দেখা যায়। সময়ের অভাবে সবসময় পার্লারে গিয়ে ঠিকমত ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে উঠে না। তাই বলে পার্টি তো মিস করা যাবে না। বিশেষ করে টিন এজারদের মধ্যে এগুলো অনেক বেশি দেখা যায়। ত্বক আমাদের শরীরের সব লেয়ারকে ঢেকে রাখে এবং এটা শরীরের সবচেয়ে পাতলা অংশ । এজন্য সূর্যের আলো, পরিবেশ দূষন এবং অন্য সব রোগ যেগুলো ত্বকের ক্ষতি করে সেগুলো থেকে ত্বককে রক্ষা করা উচিত। এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং দ্রুত ফর্সাভাব বাড়ানোর জন্য আমি কিছু প্রধান উপাদান নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি যার সাহায্যে আপনারা যেকোনো সময় সহজেই উজ্জ্বল স্কিন এবং ফর্সা ভাব পেতে পারেন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই বাইরে কাজ করে ফলে সারাদিনই তাদের বাইরে থাকতে হয়। ফলে অনেক সময় নিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু চাইলে পার্লারে না গিয়েও বাড়িতে বসেই হাতের কাছের কিছু উপকরণ দিয়ে চেহারায় নিয়ে আসতে পারেন তাৎক্ষনিক ফর্সাভাব।
১/ চালের গুঁড়া মুখের স্ক্রাব হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। এক কাপ চায়ের পানি ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এর সাথে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মাস্ক এর মত করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর হাত দিয়ে সার্কুলার ভাবে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ইন্সট্যান্ট ত্বকে ফর্সাভাব আসবে।
২/এক টেবিল চামচ ওটস পানিতে ভিজিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট করে নিন। এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে লেবুর রসের সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩/২ টেবিল চামচ আটা, আধা চামচ হলুদ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং একটু দুধ একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটাকে ৫ মিনিট মুখে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ২০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা কেটে গিয়ে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।
৪/যেকোনও ধরনের পার্টি তে যাওয়ার আগে একটা কলা চটকে, তার সাথে পাকা পেঁপে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেটা পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে দেখুন আপনার কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা।
৫/একটা টমেটোর রস এর সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটাকে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি কিছুক্ষণের মধ্যে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি।
৬/কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এটাকে গুঁড়ো করে এক কাপ ফ্রেশ টকদই এর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব এর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বলও হবে।
৭/এক চামচ কাঁচা দুধ এর সাথে এর চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দুধ এবং লেবুর রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। মুখে লেবু লাগানোর কারণ হল এটি ব্লীচের একটি প্রধান উপাদান। এটি মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
৮/কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহজলভ্য কিছু উপাদান যেমন গ্লিসারিন, শশা, গোলাপজল আপনার ত্বককে খুব দ্রত উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে দিতে পারে। কয়েক টুকরা শশার সাথে পরিমাণ মত গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট করে ঘুমা্নোর আগে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পেস্টটি খুব বেশি পাতলা না হয় অথবা ঘন না হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।৯/ত্বকে আলুর রস লাগালে মুখের পোড়াভাব দূর হয় এবং তাৎক্ষনিকভাবে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
১০/তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস এর সাথে পেঁপে মিক্স করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রঙ পরিষ্কার হবে। এবং মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে। ফলে আপনাকে ফর্সা দেখাবে।
১১/ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে ফেটে নিয়ে মুখে লাগান। এতে স্কিন অনেক নরম ও উজ্জ্বল হয়।
১২/জিঙ্ক এবং ল্যাক্টিকএসিড স্কিন এর জন্য অনেক ভালো। তাই টক দই ভালো ভাবে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে দেখুন ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব।
১৩/মুখের স্কিন এর ক্ষেত্রে গোলাপজল একটি গুরুত্বপুর্ন উপাদান। প্রতিদিন তুলায় গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। রঙ ফর্সা হবে তাৎক্ষণিকভাবে।আমরা সবাই চাই নিজেদের সুন্দর দেখাতে কিন্তু আলসেমি হোক আর সময়ের অভাবেই হক না কেন নিজেদের পরিপূর্ণ যত্ন নিতে আমরা হই। তাই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে নিজের চেহারায় চমক আনতে উপরের টিপসগুলোর জুড়ি নেই।


স্লিম রাখার ৯টি উপায়

মেয়েদের শরীরে মেদ অনেক সহজেই জমে। বিশেষ করে ৩০-৩২ বছর বয়সে মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই মেদ জমে। এই মেদ প্রথমত প্রকট হয় পেটে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানী করে তা নয়, শরীরে যে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধছে তাও নির্দেশ করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ ইঞ্চির বেশি পেট এর সাইজ থাকলে হার্ট এর অসুখ, ডায়বেটিস হতে পারে। পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে এক জিনিস ভাবলে ভুল করবেন। পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে স্লিম থাকার ৯ টি উপায় দেওয়া হলো।
(১) কোন পরিশ্রম ছাড়া আমরা যেই কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহন করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহন ও নি:শ্বাস ত্যাগ করা পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম।
(২) প্রচুর আমিষ (প্রোটিন) সমৃদ্ধ খাবার যেমন-মাছ, ডাল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খান। প্রোটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়। চর্বি জাতীয় খাবার থেকে সবসময় দুরে থাকুন।
(৩) তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। তবে মধু ব্যবহার আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
(৪) যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে তাহলে আরেকবার ভাবুন। কারণ অসময়ের ঘুম শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। পেটে চর্বি জমার প্রবণতা প্রায় ৫গুন বৃদ্ধি পায়।
(৫) লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। যে জায়গাগুলোতে হেঁটে যাওয়া সম্ভব সেখানে রিকশায় না উঠার চেষ্টা করুন। হাঁটাই সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম। এছাড়াও ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম যদি নিয়মিত করতে পারেন তাবে এগুলো আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে। যেমন ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্‌, বার-পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, পুশ-আপস্‌, চেয়ার ডিপস্‌ ৩০ সেকেন্ড করে দিনে ৪-৫ বার করে দেখুন।
(৬) টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি কারনিটিন নমক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরী করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।
(৭) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি শরীরের টক্সিন বা বিষকে বের করে দিয়ে মাংসপেশী গঠনেও সাহায্য করে।
(৮) মেদ কমাতে গিয়ে খাওয়াটা একেবারে কমিয়ে দেওয়া ঠিক না। এতে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ঢালাওভাবে সব খাবার না কমিয়ে প্রথমে তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার কমান, এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবার কমাবেন। তবে অবশ্যই তা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত।
(৯) ধূমপান ও মদ্যপান শরীরে চর্বি পোড়াতে বাঁধা দিয়ে মেদ জমাতে সাহায্য করে। তাই এসব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

ত্বকের যত্নে মসুরের ডাল


ত্বকের যত্নে মসুরের ডাল

আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততম জীবনে ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখা হয় না। গরমে সূর্যের কড়া রোধে ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যায়। ত্বকের যত্নে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। এবার ত্বকের যত্নে আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি মসুরের ডাল। কিন্তু এ মসুরের ডাল যে ত্বকের জন্য কত উপকারী এটা আমরা সবাই হয়তো জানি না।
মসুর ডালের উপকারিতা-
– ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
– ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।
– ত্বক অর্থাৎ স্কিনকে টান টান রাখে।
– ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
– রঙ ফর্সা করে।
– ত্বকের লুকানো ময়লা পরিষ্কার করে।
মসুরের ডালের প্যাক তৈরির নিয়ম:
মসুরের ডালকে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ডালের পেস্ট তৈরি করুন। এর মধ্যে ২ চামচ দুধ দিন। এরপর মিক্স করে ভাল করে পেস্ট তৈরি করুন। এবার আপনি মসুরের ডালের প্যাকটিকে আপনার ত্বকে প্রতিদিন ১ বার করে ব্যবহার করুন।
খুব তাড়াতাড়িই আপনি এর সুফল দেখতে পারবেন।

ঠোঁটের গোলাপী রঙ ধরে রাখার উপায়


ঠোঁটের গোলাপী রঙ ধরে রাখার উপায়

মুখের মধ্যে সবচেয়ে কোমল ও সুন্দর জায়গাটি হলো ঠোঁট। আর এই ঠোঁটকে সুন্দর রাখতেই লিপস্টিক ও লিপগ্লসের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে এবং ঠোঁচের ত্বকে দেখা দিতে পারে রুক্ষতা। অতিরিক্ত রোদ, চা-কফি বেশি পরিমাণে খাওয়া, কমদামি লিপস্টিক, ধূমপান ইত্যাদি কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ঠোঁট একবার কালো হলে তার রঙ ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন। তবে ঘরে বসেই যদি ঠোঁচের গোলাপী রঙ ফিরিয়ে আনা যায় তবে কেমন হবে? যারা নিজের ঠোঁট সুন্দর রাখতে চান তাদের জন্য রইল কিছু টিপস।
সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। একঘণ্টা রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে যতবার ইচ্ছে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কিছু দিনের মধ্যেই ঠোঁটের রঙের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
ঠোঁট শুকনো থাকলে তা রোদের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়। তুলাতে খানিকটা গ্লিসারিন লাগিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে মেখে নিন। সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের শুষ্কতা ও কালচে রঙ দুটোই কমে আসবে।
প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান। শরীরে পানির পরিমাণ কম হলে তার প্রভাব ঠোঁটের রঙের উপরে পড়ে।
ঠোঁটে ব্যবহার করার লিপস্টিক, গ্লস বা বাম কি মানের ব্যবহার করছেন সেদিকে সচেতন থাকুন। কমদামি ও খারাপ মানের প্রসাধনী একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এতে খাপার কেমিক্যাল ও রঙ ব্যবহার করা হয় যা আপনার ঠোঁটের পক্ষে ক্ষতিকর।
আমন্ড অয়েল সাধারনত চুল ও ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এই তেল কিন্তু ঠোঁটের জন্যও বেশ উপকারি। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে আমন্ড অয়েল লাগিয়ে নিন। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রভাব চোখে পড়বে।
প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে শসার রস ঠোঁটে লাগাতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে তফাৎ বুঝতে পারবেন। একটুকরো লেবুতে চিনি লাগিয়েও ঠোঁটে ঘষতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ঠোঁট ভালো রাখার জন্য অবশ্যই তা ত্যাগ করতে হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়া চলবে না।

ব্রণ সমস্যার সমাধান!

ব্রণ সমস্যার সমাধান পেতে নিন্মের পদ্ধতি ৭ টি ব্যাবহার করে দেখুন..।।

*সকাল বেলায় মধু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে। তাছাড়া মধু ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে এবং ত্বককে অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্ত করে।
প্রথমে হাত ভিজিয়ে নিন। এবার হাতের তালুতে আধা চা চামচ মধু নিয়ে নিন। তারপর হাতের তালু ঘষে মধু গরম করে নিন। এরপর পুরো মুখে মধু ম্যাসাজ করে নিন ২ মিনিট ধরে। ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন কয়েকবার করে।
*রাতে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন
আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়।
প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
*গোলাপ জলের টোনার
প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে।
পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে। বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও টোনারের কাজ হবে।
*স্ক্র্যাবার হিসেবে বেকিং সোডা
আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার।
প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।


Read more:  BD Skin Care

ঘরে তৈরি উপটান

ত্বকের যত্নে ঘরে তৈরি উপটান
সেই প্রাচীনকাল থেকেই নারীরা সৌন্দর্যের জন্য করে আসছেন নানা রকম অনুশীলন। আজকের নারীরাও বিভিন্ন ভাবে রূপ চর্চা করে থাকে। নারীর সৌন্দর্য বিকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে গড়ে উঠেছে কত কত বিউটি পার্লার। এসব বিউটি পার্লারে সৌন্দর্য চর্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ফেসিয়াল, থেরাপি, ট্রিটমেন্ট। হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে আমরা এসব রূপচর্চা সেবা নিচ্ছি পার্লার গুলো থেকে। অথচ আমরা অবহেলা করে যাচ্ছি রূপচর্চার প্রকৃত উপাদান গুলোকে! খুব সহজে এবং অল্প খরচে, আমাদের রান্নাঘরেই পাওয়া সম্ভব এমন উপাদান গুলোর সাহায্যে আমরা তৈরি করতে পারি এমন কিছু রূপ সামগ্রী যা আমাদের দেবে কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক যা আমাদের সকলেরই কাম্য। উপটান এমনই একটি রূপ সামগ্রী- যা আপনাকে দিতে পারে অসাধারণ সুন্দর ত্বক, ঠিক যেমনটি আপনি সব সময় চেয়েছিলেন।
উপটান একটি আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ যা তৈরি হয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন হলুদ, চন্দন, নিম, বেসন, তুলসী, মেথি ইত্যাদির গুঁড়ো থেকে। এটি বিয়ের কনেদের বিবাহপূর্ব রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অতি প্রাচীনকাল থেকে। সেই থেকে এটি ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রূপ সামগ্রী। ধারণা করা হয়, উপটান পৃথিবীর সব চেয়ে প্রাচীন রূপ সামগ্রী যা প্রাচীন বৈদ্যরা ব্যবহার করার পরামর্শ দিতেন। আজকের পৃথিবীতে, যেখানে দূষণ আর ভেজালের হাত থেকে কারোই রেহাই নেই, তখন আমাদের ত্বকের উপটানের মত একটি প্রাকৃতিক সমাধানেরই প্রয়োজন! উপটানে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যা আমরা আমাদের রান্নাঘরেই পেয়ে যাব; এর জন্য বাজারে গিয়ে দামি কোন কেমিক্যালযুক্ত বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে হবে না যা কিনা শুধু ত্বকের ক্ষতিই করবে।
বাড়িতে বানানোর জন্য উপটানের কয়েকটি প্রস্তুত প্রণালীঃ
(১) সাধারণ উপটানঃ
উপকরণ-
২ টেবিল চামচ বেসন
১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো
১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ দুধ
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ
সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি দিয়ে ফেস ওয়াশের মত করে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। ব্যবহারের ২-৩ দিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।
(২) ফর্সা, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বকের জন্য উপটানঃ
উপকরণ-
৪ টেবিল চামচ বেসন
২ টেবিল চামচ দুধের গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ তরল দুধ
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ ১/২ টেবিল চামচ আমণ্ড গুঁড়ো
১/২ চায়ের চামচ হলুদ গুঁড়ো
কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল
কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ
সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালো করে মেশান ও ফেস প্যাক হিসেবে মুখে ও গলায় লাগান।লাগানোর সময় হালকা ভাবে মাসাজ করে নিন এবং প্যাকটি পরিষ্কার করার সময়ও আলতো করে মাসাজ করে তুলুন। এই উপটানটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল, মসৃণ ও লাবণ্যময়।
(৩) শুষ্ক ত্বকের জন্য উপটানঃ
উপকরণ-
২ টেবিল চামচ বেসন
১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো
১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ মধু
১ টি পাকা কলা
প্রয়োজনমত তরল দুধ
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই উপটানটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এর আর্দ্রতা ও কোমলতা বজায় রাখবে।
(৪) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপটানঃ
উপকরণ-
২ টেবিল চামচ বেসন
১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো
১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ টি কমলার রস অথবা লেবুর রস
১/২ কাপ দই
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ
সব কয়টি উপকরণ এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই উপটানের নিয়মত ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে সুন্দর, মসৃণ, উজ্জ্বল আর এটি ত্বককে তেলতেলেও করবে না।
(৫) সমস্ত শরীরে ব্যবহারের জন্য উপটানঃ
উপকরণ-
৩ ১/২ টেবিল চামচ বেসন
১ চায়ের চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
আধা কাপ তরল দুধ
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার-
সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই উপটানটি সাবানের পরিবর্তে প্রতিদিন সারা শরীরে ব্যবহার করুন। ত্বক পরিষ্কারের সাথে সাথে এই উপটানটি আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়।
এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিন যে কোনও একটি উপটান এবং ব্যবহার করুন নিয়মিত। আপনার ত্বক উজ্জ্বল তো হবেই, চলে যাবে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব ও নির্জীবতা। আপনি বাড়িতে উপটান না বানাতে চাইলে বাজার থেকেও কিনে ব্যবহার করতে পারেন; তবে এ ক্ষেত্রে এর গুনগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। উপটান একটি আয়ুর্বেদিক সৌন্দর্য সমাধান বলে এতে নেই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া- বিশেষ করে ঘরে তৈরি উপটান সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই আজই ভালো মানের উপটান বাজার থেকে কিনে আনুন অথবা ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলুন রূপচর্চার প্রাচীন এই রূপ সামগ্রীটি।

Winter skincare for men / শীতে পুরুষের ত্বকের যত্ন



শীতের পুরো সময় জুড়ে রুক্ষ ও মলিন ত্বকের জন্য বেশ বিব্রতও হতে হয়। সারাদিন খাটাখাটুনির পর রাতে বাসায় ফিরে আলসেমি ধরে যায়, তাই ত্বকে যত্ন নেওয়ার সুযোগ কই!

১। ত্বকের যত্ন

সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন, কেননা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তারপর ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন।
ইচ্ছে করলে মুখ পরিষ্কার করার জন্য ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।
শীতকালে মুখে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়, তাই সপ্তাহ অন্তত একদিন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করলে মুখের ব্ল্যাকহেডস বা কালো দাগ সেড়ে যাবে।
ত্বক পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ নিয়মে ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে এবং স্ক্রাবিং করার পর গাঢ় ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে পারেন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাজার থেকে শসা, গাজর, টক দই, চালের গুঁড়া, মধুসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে নিজেই স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
গোসলের আগে হাত-পা’য়ে আলিভ অয়েল, নারিকেল তেল কিংবা নারিকেল তেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে হত, পা ও ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা তৈলাক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এবং যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ময়েশ্চারাজিং ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
২। ঠোঁটের যত্ন
শীতে ঠোঁটের সমস্যাগুলো একটু বেশি চোখে পড়ে, ঠোঁটের চামড়া উঠে যায়, ঠোঁট ফেটে যায়, কারও কারও ঠোঁট ফেটে রক্ত আসে।
ঠোঁটে সব সময় গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে, ঠোঁটের এসব সমস্যা থাকবে না।
যাদের ঠোঁটের সমস্যা একটু বেশি তারা সানস্ক্রিন লাগতে পারেন। ধূমপায়ীরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আর শীতে ধূমপান করলে ঠোঁটের বেশি ক্ষতি হয়। তাই এই অভ্যেস ত্যাগ করুন।

৩। শীতের চুলের যত্ন

শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরমতো শীতকালে চুলও আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। তাই নানান রকম সমস্যা দেখা দেয়। চুলের এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে মাথার চুল পড়ে যায়, এটা ঠিক না। নিয়ম জেনে নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করলে চুলের অনেক সমস্যা-ই চলে যায়।”
একদিন অন্তর অন্তর চুলে শ্যাম্পু করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় থাকে।
শীতে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলায় চুল রুক্ষ ও মলিন দেখায়। তাই শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল, মধু, লেবুর রস কিংবা ঠাণ্ডা চায়ের লিকার মালিশ করে কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু কর নিলে চুল সতেজ থাকবে।
সপ্তাহে একদিন চুলে কাঁচা-মেহেদিপাতা বেটে দিয়ে রাখুন। এতে স্বাভাবিক চুল পড়া কমে যেতে পারে।
চুলে যে কোন ধরনের প্যাক কিংবা মেহেদি ব্যবহার করার পর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুলে হালকা তেল মালিশ করলে চুলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে।
৪। পায়ের যত্ন
শীত বাড়লে প্রকটতর হয় পায়ের নানান সমস্যা— পা ফাটা এবং পায়ের দুর্গন্ধ অন্যতম। তাই এ সময়ে পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে পাতলা ছিদ্রযুক্ত মোজা ব্যবহার করতে হবে।
ব্যবহারের পর প্রতিদিন পারলে জুতা রোদে দিন। আর মোজা একদিন পরার পর ধুয়ে রোদে শুকান।
দুর্গন্ধ এড়াতে পায়ে দুর্গন্ধনাশক লোশন ব্যবহার করুন। সমস্যা প্রকট হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নখের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা থেকে জীবাণু সংক্রমিত হয়ে পায়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তাই প্রতি মাসে অন্তত দুবার পেডিকিউর করলে পা থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

বহু গুনের কমলার খোসা


১) কোলেস্টোরল কমায়

এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টোরল আমাদের হৃদপিণ্ডের শিরা উপশিরায় রক্ত কল্ট ও প্লাকের সৃষ্টি করে। এতে করে হৃদপিণ্ডে ব্লকের সমস্যা দেখা দেয়। কমলার খোসার অ্যান্টি কোলেস্টোরল উপাদান দেহ থেকে এই এলডিএল কোলেস্টোরল কমাতে সাহায্য করে। তাই কমলার খোসা কুচি করে খাবার বা সালাদ হিসেবে খেয়ে নিতে পারেন।

২) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে আমাদের দেহের ভালো কোষ থেকে অক্সিজেনের মৌল দূর হতে থাকে। এতে করে বাড়তে থাকে ক্যান্সার। কিন্তু কমলার খোসার কেমিক্যাল কম্পাউন্ড এই অক্সিজেনের মৌল কোষে ধরে রাখতে সহায়ক। সুতরাং দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি বাঁধা পায়। এতে করে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

 বহু গুনের কমলার খোসা

৩) বুক জ্বালাপোড়া কমায়

দীর্ঘমেয়াদী বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন? খুব সহজেই কমলার খোসার মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারেন এই যন্ত্রণার। গবেষণায় দেখা যায় কমলার খোসার অ্যাক্টিভ কেমিক্যাল বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে স্থায়ী মুক্তি দিতে পারে। টানা ২০ দিন সাধারণ খাবারের সাথে কমলার খোসা কুচি খেয়ে দেখুন। ভালো ফল পাবেন।

৪) হজমের সমস্যা দূর করে

কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার। মাত্র ১০০ গ্রাম কমলার খোসায় পাবেন ১০.৬ গ্রাম ডায়াটারি ফাইবার। এই ডায়াটারি ফাইবার খাবার হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ২ কাপ পানিতে ১ টি গোটা কমলার খোসা ফুটিয়ে ১ কাপ হয়ে এলে সামান্য মধু মিশিয়ে তা পান করে নিন। ভালো ফল পাবেন।

৫) শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে

কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কমলার খোসার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা যেমন, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, ফ্লু এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

ফেসিয়ালের নিয়ম

সারা বছরই আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে হয়। কিন্তু গরমের সময়টায় ত্বকের যত্ন নেয়াটা হয়ে যায় বাধ্যতামূলক। এই সময়ে ময়শ্চারাইজ়ারও মাখা যায় না। তাই গরমকালে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে বাড়তি যত্ন নিতেই হবে।
আমরা মনে করি ত্বকের পরিচর্যার জন্য হয়তো অনেক কিছু প্রয়োজন। আসলে কিন্তু তা নয়। আমরা রান্নাঘর বা ফ্রিজ থেকেই পেতে পারি প্রয়োজনীয় উপকরণ যা দিয়ে ধরে রাখতে পারি প্রতিদিনের সুন্দর ত্বক।
ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে কীভাবে ফেসিয়াল করব, আর কোন ত্বকে কোন ফেসিয়াল ভাল হবে সেটা আগে জেনে নিই ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক রূপবিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলমের কাছে।
চট জলদি রূপচর্চার বেশ কিছু উপায় বাতলে দিলেন ফারনাজ। এখন যে কোনোটি ট্রাই করুন:
ফেসিয়ালের ধাপগুলো এভাবে অনুসরণ করুন,

ফেসিয়াল করার নিয়ম

ক্লিঞ্জিং
প্রথমে ক্লিঞ্জিং দিয়ে মুখ ধোয়ার পূর্বে প্রথমে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের লোমকুপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিস্কার করে নিতে পারেন।

ক্রিম ম্যাসাজ
ফেসিয়াল ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।

স্ক্র্যাবিং
এবার স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, সুজি অথবা চিনি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্ক্র্যাব।

টোনিং
সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেন না। চোখের কাছে লাগাবেন না।
এই পর্যায়ে ফেসিয়াল যে কোনো একটি মাস্ক প্রস্তুত করুন।
একটা শসা কুড়িয়ে, সেটা থেকে রসটা বের করে এক চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
দু’চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মসুর ডাল বেটে তার মধ্যে অল্প দুধ ও আমণ্ড তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই প্যাকটা মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।
শসার রস, এক কাপ ওটমিল ও এক টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটা পুরো মুখে মেখে তিরিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আজকাল সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। একটি টমেটো ভাল করে চটকে নিন। সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের দাগগুলো সব মিলিয়ে যাবে।
ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রিন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি নিন। তাতে ২-৩ চামচ গ্রিন টি ভেজানো পানি মেশান। অ্যালোভেরার আবরণ সরিয়ে রস বের করে নিন। এবার মুলতানি মাটি ও গ্রিন টির মিশ্রণে মিলিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
বাহ! দেখুন তো আয়নায়, স্টোরিটা পড়েই কেমন যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন, এবার ঝটপট শুরু করুন।
ট্যাগস – ফেসিয়াল, ফেসিয়াল ক্রিম, ফেসিয়াল করার নিয়ম, ফেসিয়াল মাস্ক, ফেসিয়াল স্ক্রাব, ফেসিয়ালের নিয়ম, ফেসিয়াল টিপস, ফেসিয়াল করার উপায়, ফেসিয়াল কি, ফেসিয়াল প্যাক, ফেসিয়াল করা, গোল্ড ফেসিয়াল, ছেলেদের ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল, ফ্রুট ফেসিয়াল, ঘরোয়া ফেসিয়াল, পার্ল ফেসিয়াল, চকলেট ফেসিয়াল, অরেঞ্জ ফেসিয়াল, হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল

ঘরোয়া উপাদানে চিকিৎসা


১. হলুদের গুঁড়া
হলুদের গুঁড়াতে প্রচুর পরিমাণে অ্যন্টিসেপটিক গুণাগুণ রয়েছে। কেটে যাওয়া স্থানে নির্দিষ্ট পরিমাণে হলুদের গুঁড়া দিলে তা দ্রুত অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে এবং এতে কোনো ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না।

২. আপেল সিডার ভিনেগার
ক্ষত রোগ দ্রুত নিরাময়ে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই কার্যকর একটি উপাদান। যেকোনো কাটা ছেঁড়া নির্মূলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৩. চিনি
যদিও অতিরিক্ত চিনি সেবন দেহের জন্য বেশ ক্ষতিকর কিন্তু আপনার কোনো কাটা জায়গাতে চিনি অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চিনি আহত অংশটিকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে। ক্ষতের অতিরিক্ত পানি শোষণ করে নেয় এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে জায়গাটি পরিস্কার করে ফেলে।



৪. মধু
মধু ক্ষত স্থানটিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ক্ষত স্থানটিকে শুকিয়ে নিতে সহায়তা করে, কোনো ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না এবং অতিরিক্ত ফোলাভাব দূর করে ফেলে। কাটা ছেঁড়া বাদেও পুড়ে যাওয়া জায়গাতেও মধু বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৫. অ্যালোভেরা জেল
কেটে যাওয়া অংশে অ্যালোভেরা জেল সরাসরি প্রয়োগে এটি ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। এছাড়া ক্ষতটিকে দ্রুত সারিয়ে নিতেও সহায়তা করে থাকে।

৬. চা-পাতি
হালকা কাটা ছেঁড়াতে চা-পাতি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করে। এটি ক্ষত শুকিয়ে ফেলে এবং ব্যথা কিছুটা উপশম করে। পাশাপাশি কোনো ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না।

প্রাকৃতিক উপাদানে রূপচর্চা

রূপচর্চার ক্ষেত্রে আমরা সবাই যথেষ্ট সাবধানী। বাজারের কেনা প্রোডাক্ট ত্বকে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা কতটা উপকারী হবে তাই নিয়ে সব বয়সী নারীর দারুন দুশ্চিন্তা। এই দুশ্চিন্তা থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলবে, যদি রূপচর্চাটা ঘরেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সেরে নেয়া যায়। আপনারা যদিও জানেন, তবুও নতুন করে পুরোনো কিছু জিনিসের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
মধুঃ
ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের জন্য এক চা চামচ মধুর সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। মধু ও লেবুর এই প্যাক ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে। মুখের বলিরেখা ও দাগ দূর করতে ময়দা আর মধু পানি দিয়ে মিশিয়ে ভালো করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে অল্প পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। বাইরে রোদ থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে মধু ও আটা দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে মুখে ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধীরে ধীরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ থাকবে না।

শশাঃ
রূপচর্চাতে শশার ভূমিকা অনেক। শশার রস টোনার হিসেবে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতে শশা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শশা থেঁতলে নিয়ে চোখের ওপর পাতলা কাপড় অথবা তুলো দিয়ে তার ওপর দিন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের ডার্ক সার্কেল দূর হবে।

হলুদঃ
যুগ যুগ ধরে বাঙ্গালির খাদ্য তালিকায় মসলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে মসলা ছাড়াও এই হলুদ অন্য ভাবেও ব্যবহার হতে পারে। অমসৃন ত্বকে হলুদের গুঁড়োর সাথে মধু অথবা চালের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এটি স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ মুখে লাগানোর আগে একটু দুধ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকে আসবে কোমলতা।

আলুঃ
আলু আমাদের অতি পরিচিত ও পছন্দের একটি সবজি। আলুকে বলা হয এসিডিটি প্রতিরোধক। আলুতে জিংক থাকায় তা ত্বকের যত্নে বিশেষ উপকারী। আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের দাগও দুর করে। বিভিন্ন ধরনের ব্রণ নির্মূলেও আলু বিশেষ সহায়ক। পুড়ে বা ঝলসে যাওয়া ত্বকের ওপর আলু থেতলে আলতো করে লাগালে ব্যথা কমে। এছাড়াও আলু থেঁতলে নিয়ে চোখের ওপর দিন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের ডার্ক সার্কেল দূর হবে।

ত্রিফলাঃ
আমলকী হরীতকী আর বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয়। এই তিনটি ফলের সংমিশ্রণের নাম দেয়া হয়েছে ত্রিফলা। প্রাকৃতিক গুণ সম্পন্ন ত্রিফলায় রয়েছে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক উপাদান যা ব্যবহারে চুল হয় লম্বা কালো ও ঘন। চুল পড়ার প্রতিষেধক হিসেবে রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দু’ঘণ্টা রেখে যে কোন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া ত্রিফলাযুক্ত তেল ব্যবহারেও উপকার পাবেন।

লেবুঃ
লেবু রূপচর্চার উপাদান হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। এ ছাড়া লেবু  চুলের খুশকি প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দুধ ও লেবুর মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করলে খুশকি দূর হবে। শ্যাম্পু করার পর পানিতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুলে চুল ঝকঝকে রেশম কোমল ও মনোরম হয়ে ওঠে।

মেথিঃ
মেথির চুল কন্ডিশনিং এবং জীবাণুনাশক গুণাগুণ মাথার চামড়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চুল পড়া বন্ধ করে এবং মাথা ঠান্ডা রাখে। ২ চা চামচ মেথি রাতে অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন নরম হলে মিহি করে বেটে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়া বন্ধে এটি অব্যর্থ ঔষধ।

মেহেদিঃ
প্রাচীনকাল থেকেই মেহেদিকে সৌন্দর্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এই মেহেদি পাতা বেটে হেনা ডাই হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা, সুগন্ধী ফুল ও মূল লতা গুল্ম সমন্বিত গুণাগুণ চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, ঝলমলে করে তোলে, চুলের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব ও খুশকি দূর করে, মাথাও ঠান্ডা রাখে। মেহেদি পাতা বাটা, টকদই, লেবুর রস ইত্যাদি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলুন।

টমেটোঃ
নিয়মিত সৌন্দর্যচর্চার উপাদান হিসেবে টমেটো আপনাকে দিতে পারে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন ত্বক। ত্বক পরিষ্কার করতে বেসন বা উপটানের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ভর্তি দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। ত্বকের পোড়াভাব দূর করতে বাইরে থেকে ফিরে মুখে, গলায় ও হাতে টমেটোর রস লাগান। শুকিয়ে গেলে আরো একবার লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ থাকবে না। ভালো স্ক্রাবের কাজ করে টমেটো। তাই আধা ভাঙা চালের গুঁড়োর সঙ্গে টমেটোর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন সারা শরীরের এভাবে স্ক্র্যাব করুন।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীঃ
প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চাতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহারের বেশ প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে সংবেদনশালী ত্বক ও মেছতা নিরাময়ের ক্ষেত্রে। ঘৃতকুমারীর পাতা, শশা ও মধু একত্রে পেস্ট করে মেছতায় নিয়মিত লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। পাতার ভেতরের থকথকে অংশটা প্রতিদিন মেছতার ওপর লাগিয়ে ম্যাসাজ করলে দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে আসবে। রোদে পোড়া ত্বকেও ঘৃতকুমারী সমান কার্যকর। ঘৃতকুমারীর রস উপটান বা মুলতানি মাটির সাথে মিশিয়ে পোড়া অংশে লাগালে উপকার পাবেন। চালের গুঁড়ি স্ক্র্যাবার হিসেবে ব্যবহার করলে এর সাথে মেশাতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস। এতে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জ্বল। খুশকি দূর করতেও ঘৃতকুমারীর জুড়ি নেই। এর রস সপ্তাহে দুদিন চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দেখুন, মাত্র এক মাসে ফলাফল পাবেন!  চুলে ঘৃতকুমারী নিয়মিত লাগালে চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। চুল হয় মোলায়েম ও ঝরঝরে।


তবে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা কোনো কিছু ব্যবহারের আগে সেটি ত্বকের জন্য সহনশীল কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। মিশ্রণটি কানের পাশে লাগিয়ে কিছু সময় পরে ধুয়ে ফেলুন। এবার আরও কিছু সময় অপেক্ষা করে দেখুন র‌্যাশ,বা চুলকানি হচ্ছে কি না। রূপচর্চার ক্ষেত্রে সবসময় সাবধান থাকুন।

নিজেই করুন নিজের ফ্রেশিয়াল

BD Skin Care

ফেসয়াল মূলত করা হয় ত্বকের সৌন্দর্যের জন্যএছাড়াও দাগের জন্য, ব্রণের জন্য, মেছতা, এলার্জি, এ্যানি, রংয়ের ময়লা পরিষ্কার করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ফেসয়াল করা হয় তবে ত্বকের ধরন বুঝে ফেসয়াল করা উচিত।....

 

১৮ বছরের পর থেকে হারবাল ফেসয়াল করা যায়, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই সাধারণত ত্বকের সতেজতা, উজ্জ্বলতা এবং ময়লা পরিষ্কারের জন্য ফেসয়াল সবসময় করা যায় তবে যাদের ত্বকের সমস্যা আছে তারা সপ্তাহে একবার করে মাসে চার বার এবং যাদের সমস্যা নেই তারা সতেজতার জন্য মাসে একবার ফেসয়াল করতে পারেতবে যারা প্রতিনিয়ত করে তাদের ত্বকে কোন সমস্যা হয়না
 
নিম ফেসয়াল: দাগ, অল্প মেছতা, এলার্জি ইত্যাদি সমস্যার জন্য এই প্যাকটি বাসায় এনে প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেইবরং এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়এই প্যাকটির দাম মাত্র ৪০ টাকাবিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে একটি প্যাকই ব্যবহার করা যায় অনেক দিন
এন্টি পিমপল: মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ থাকলে এই প্যাকটি এনে এক দিন পর পর ব্যবহার করা যেতে পারেশারীরিক কোন অসুস্থতা না থাকলে অবশ্যই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়এই প্যাকটির দাম ৪০ টাকাএকইভাবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে
পার্ল: সপ্তাহে একদিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যায়এই প্যাকটি ২৫০ গ্রামএকইভাবে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে
তবে যত কিছুই মুখে লাগানো হোক না কেন বাহির থেকে ফিরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবেতা নাহলে মুখে ময়লা জমে বিভিন্ন সমস্যা হবেআর মুখের ত্বক অনেক বেশি কোমল বলে অবশ্যই ত্বকের সমস্যার জন্য কোন অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানের  অথবা কোন ত্বক
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত

 


 

ডায়েট টিপস - Diet Tips




প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা |  মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস (২ লিটার), পুরুষদের জন্য ১২ গ্লাস(৩ লিটার) পানি খেতে হবে| এটি সারাদিনের সব রকমের পানীয়র হিসাব| তবে যারা ব্যায়াম করেন, তারা আরো বেশি পানি পান করবেন|
·                     রাতের খাবার ঘুমানোর তিন ঘন্টা আগে খেতে হবে| কেন?

·                     রাতে ঘুমানোর সময় ক্ষুধা লাগলে  কিছু না খাওয়াই ভালো, তবে ননী/ফ্যাট ছাড়া দুধ খেতে পারেন|
·                     খাবারে শর্করার পরিবর্তে  সবজি ও ফল রাখা, কারণ এগুলোতে আছে প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার ও antioxidant.
·                     সালাদ বেশি বেশি খাওয়া, দুপুর ও রাতের খাবারের সাথে অবশ্যই সালাদ থাকবে|
·                     মাছ অবশ্যই খেতে হবে, মাংশ কম খেয়ে মাছ বেশি খেলে ভালো লাল মাংশ : যেমন গরুর মাংশ না খাওয়া ভালো |
·                     সাদা আটার রুটি না খেয়ে, লাল  আটার রুটি খাওয়া| কারণ লাল আটা complex carbohydrate, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী| তেমনি সাদা শর্করা যেমন সাদা চালের ভাত বাদ দিয়ে, লাল চাল খাওয়া ভালো |
·                     বিনস( যেমন: red kidney beans), কাচা ছোলা এগুলো প্রতিদিন খেতে হবে| কারণ এগুলো তে আছে কম ফ্যাট, এবং cholesterol কমানোর উপাদান | তাছাড়া  ভিটামিন বি, potassium, fiber ও আছে এগুলোতে| যা হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় |
·                     ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়া, অবশ্যই ননী বিহীন দুধ |
·                     প্রতিদিন টক দই খাওয়া, চিনি ছাড়া|
·                     মহিলাদের জন্য calcium সমৃদ্ধ খাবার : দুধ, টক দই  প্রতিদিন খেতেই হবে
·                     ভাত কম খেয়ে, সবজি, ফল,সালাদ বেশি খাওয়া|
·                     পরিমিত পরিমানে খাওয়া |
·                     প্রতিদিনে ৫/৬ বার খাওয়া |
·                     দুই, তিন ঘন্টা পর পর ২০০/৩০০ ক্যালরি খাওয়া সব চাইতে ভালো অভ্যাস
·                     সকালের নাস্তা অবশ্যই খাওয়া
·                     ভাজা পোড়া, বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা|
·                     প্রানিজ আমিষ সবসময় না খেয়ে উদ্ভিজ আমিষ বেশি খাওয়া |কারণ উদ্ভিজ আমিষ এ ফ্যাট কম থাকে |
·                     প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম snacks হিসাবে খাওয়া, এতে ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ে, cholesterol কমে|
·                     প্রতি বার খাবারে আমিষ খেতে হবে পরিমান মত| আমিষ হতে পারে: মাছ, সাদা মাংশ ( মুরগির মাংশ ইত্যাদি) , বিনস, বাদাম, ডাল, পনির, দই  ইত্যাদি | কারণ আমিষে শর্করার তুলনায় কম ক্যালরি থাকে, এটা পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে | এটা muscle গঠনেও সহায়তা করে| পুরুষরা কিন্তু বেশি বেশি আমিষ খাবেন|
·                     ওজন কমাতে চাইলে চিনি একেবারে বাদ দিতে হবে| মিষ্টি জাতীয়, চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতেই হবে |
·                     বেশি তেল ও মশলা যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে| তবে মশলা ভালো, বিভিন্ন রকম মশলার বিভিন্ন গুনাগুন আছে| তবে পরিমানমত দিয়ে রান্না করতে হবে|
·                     ভাজা, ভুনা নয়, সিদ্ধ, grilled, broiled  উপায়ে রান্না করতে হবে|
·                     খাবারের মেনুতে  প্রচুর ফাইবার সমৃধ্য খাবার যেমন: লাল আটা , শাক , বিনস,সালাদ, সবজি, ফল, oats,cornflakes রাখুন|  কারণ ফাইবার ওজন কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় , এবং cholesterol কমায়| মহিলাদের জন্য ২১-২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৩৮ গ্রাম  ফাইবার খেতে হবে প্রতিদিন|
·                     খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন না খাওয়া | কারণ অতিরিক্ত লবন শরীরে পানি আনে, blood pressure ও ওজন বাড়ায়| রান্নাতেই অনেক লবন থাকে, বেশি লবন খাবার দরকার নেই|
·                     সপ্তাহে  একদিন নিজের পছন্দের  খাবার খাওয়া| এটা খাওয়ার রুচি বাড়িয়ে, একঘেয়েমি কমাবে | শরীর একরকম খাবারে অভ্যস্ত হলে সেই ডায়েটিং কোনো কাজে আসবে না | এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেই, যা অনেকেই ভুল করে| যেমন আমাকে বাইরে restaurant  , কোনো program   খেতে দেখলে সবাই অবাক হয়ে জিগ্গেস করে কেন আমি উল্টা পাল্টা খাবার খাচ্ছি, কারণ সপ্তাহে একদিন অন্যরম বা প্রিয় খাবার পরিমান মত খেলে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এটা শরীরের জন্য ভালো | সেক্ষেত্রে restaurant এ গেলে পরিমানমত খেতে  হবে, একবারে কখনই বেশি খাওয়া যাবে না| যে পরিমান খাবার একজনের জন্য restaurant  দেয়, তা দুজন, তিনজন ভাগ করে খাওয়া উচিত, কারণ এত বেশি পরিমান একসাথে খাওয়া ঠিক নয়|