মুখের অভ্যন্তরে হাইপার পিগমেনটেশন বা অতিরিক্ত রং কোনো রোগ বা অস্বাভাবকি অবস্থার সংকেত দিয়ে থাকে। পিগমেনটেশন বলতে বোঝায় রং। পিগমেনটেশনের অচলাবস্থা মানবদেহে শুধু মুখ নয় বরং যে কোনো স্থানের ত্বকের রঙের স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট করে। চর্ম বা ত্বক মেলানিন নামক পিগমেন্ট থেকে রং পায়। মুখের পিগমেনটেশন বলতে বোঝায় মুখগহ্বরের ওরাল মিউকোসার স্বাভাবিক গোলাপি রঙের পরিবর্তন। পিগমেন্ট বেশি উৎপন্ন হওয়ার কারণে মুখের অভ্যন্তরে গাঢ় দাগের সৃষ্টি হয়। ওরাল পিগমেনটেশন মুখের অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানে হতে পারে। নিভাস বলতে বোঝায় জন্মদাগ, যা এই পিগমেনটেশনের কারণে হয়। মুখের অভ্যন্তরে মিউকাস মেমব্রেনের গোলাপি রং পরিবর্তন হয়ে হালকা বাদামি থেকে নীলাভ কালো হতে পারে, যদি পিগমেনটেশন হয়। রেসিয়াল পিগমেনটেশন স্বাভাবিক। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগে রঙের পরিবর্তন বা পিগমেনটেশন হতে পারে। যেমন:
ক. এডিসনস ডিজিজ
খ. নেলসনস সিনড্রোম
গ. এইচআইভি রোগ
ঘ. ক্যান্সারজনিত রোগ মিলানোমা এবং ক্যাপোসিস সারকোমা
ঙ. নিউরোফাইব্রোমেটোসিস
চ. বদভ্যাসগত ধূমপান
Add caption |
অ্যামালগাম টাট্টু-দাঁতের স্থায়ী ফিলিং করার সময় মারকারি বা পারদ যদি মিউকাস মেমব্রেনে লেগে থাকে তাহলে সেখান থেকে এমালগাম টাট্টুর উৎপত্তি হতে পারে জ. সফট প্যালেট বা তালুর রঙের অস্বাভাবিকতা খুব কম ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সারের সময় দেখা যায় ঝ. মিনোসাইক্লিন জাতীয় টেট্রাসাইক্লিন দীর্ঘদিন সেবন করলে ঞ. বিভিন্ন ধাতব পদার্থ বা মেটালের বিষক্রিয়া_ বিসমাথ, মারকারি বা পারদ, লেড বা সিসা এবং সিলভারের বিষক্রিয়া মুখের অভ্যন্তরে দাগ সৃষ্টি বা রঙের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। অতএব, আপনার মুখের অভ্যন্তরে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন দেখা দিলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- See more at: BD Skin Care
0 comments:
Post a Comment